অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: মকবুল হোসেন, স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠানমালা সঞ্চালনা ও বুদ্ধিজীবী দিবসের উপর প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। আলোচনা অনুষ্ঠানে সহ-সঞ্চালনায় ছিলেন সেকশন অফিসার (সিন্ডিকেট শাখা) জনাব মীর মো: রাতুল হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও দক্ষতা দ্বারা স্বাধীন বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারতেন। কিন্তু ঘাতকদের নির্মমতায় তাঁরা সেটি পারেননি। এটা জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে, যখন আমরা তাঁদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে পারব।” তিনি আরো বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রার যে কোন পথবিচ্যুতি কারো জন্য মঙ্গলজনক হবে না। আত্নঘাতী কাজে সকলের বিপত্তি ঘটবে। দেশকে, দেশের মানুষকে, দেশের সংস্কৃতিকে ভালোবাসতে হবে। এভাবেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হবে।’
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকম-লী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।