চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লা-সোনালী মুরগি

303

ব্রয়লার- সোনালী মুরগিসহ সব ধরনের মুরগি দাম বেড়েছে। কেজিপ্রতি ব্রয়লারে বেড়েছে ১৫ টাকা, সোনালীতে ১০ টাকা ও পাতিহাঁসের কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।

শনিবার রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাঁদরাত থেকে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। এছাড়া দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা। পাতিহাঁসের কেজিতে প্রায় ১৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ঈদের আগে হাঁসের কেজি ছিল ৩২০ থেকে ৩২৫ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৪৫ থেকে ৩৫০ টাকা।

এ বিষয়ে রাজশাহীর সাহেব বাজার মাস্টারপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মিঠু জানান, ঈদের আগে রাজশাহীতে দারুণ বেচাবিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ঈদের পর দুদিন দোকান বন্ধ রেখে আজ চালু করেছি। ঈদের আগে বেড়েছে মুরগির দাম। সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে এখনও। তবে, বেচাবিক্রি কম। শিক্ষার্থীরা ঈদ শেষে আসলে এই সপ্তাহের শেষের দিকে আশা করছি বিক্রি শুরু হবে। এখন ঢিলেঢালা ভাব চলছে।

নিউমার্কেটের মুরগি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, সোনালি মুরগি ঈদে বেশি বিক্রি হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও সোনালি মুরগি ব্যবহার করা হয়। অনেকে ব্রয়লার খায় না, তারা সোনালী খায়। আর ব্রয়লার মুরগি সাধারণত মেসে শিক্ষার্র্থীরা খাওয়ার জন্য কিনেন। এ কারণে অনুষ্ঠান বেশি হলে ব্রয়লার মুরগির তুলনায় সোনালি মুরগি বেশি বিক্রি হয়। দাম আর কমবে না। কারণ, বিয়েশাদী শুরু হয়েছে। তেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বেশি।

এদিকে মাসের শুরুতে হটাৎ বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দাম কমে এখন ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে সাহেববাজার নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাবলেন, পেঁয়াজের দাম হটাৎ বেড়েছিল কিন্তু আবার দাম কমে গেছে। এখন ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। পেঁয়াজ রাখারও কোন উপায় নাই। পচে যাচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা। কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা।

এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।

বাজারে সবজির দাম চড়া। তবে, কমেছে বেগুন-পটলের দাম। সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ার কারণে সবজির দামও বাড়তি। প্রায় সপ্তাহখানের আগে বৃষ্টির কারণে কিছু সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পটল, বেগুন, কাঁকরোল, ঢেঁড়স, করলাসহ প্রায় সব সবজিই বাজারে আছে। বৃষ্টির কারণে মরিচের ক্ষেতে ক্ষতি না হয়ে বরং ফলন বেড়েছে। আমদানিও বেশি ফলে দাম কমেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, করলা মানভেদে ৪০ থেকে ৮০ টাকা, দেশি আলু ২০ টাকা, ডায়মন্ড-কার্ডিনাল আলু ১৬ টাকা, ফুলকপির কেজি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ক্ষীরা- শশা প্রতি কেজি ১০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ২০ টাকা আর কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসলার বাজারে দেখা যায়, পেঁয়াজের দরপতন হয়েছে। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পুরাতন দেশি পেঁয়াজ বাজারে ৩৫ টাকা। আর আমদানি করা ভালোমানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।

পেঁয়াজের বাড়তি দামের বিষয়ে বাজারের খুচরা বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়, আবার কমে যায়। গত শুক্রবারে একটু কম দামে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। আজ প্রতিকেজি ৫-৭ টাকা কমেছে। এছাড়া সামনে পেঁয়াজের দাম কতটা কমবে নিশ্চয়তা নেই। বাংলাদেশে কখন কোন জিনিসের দাম বাড়বে কেউ জানেনা।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৭মে ২০২২