ছাগলকে শীতের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে না পারলে ঠাণ্ডাজনিত রোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে শীতের মাত্রা বেশি হলে ছাগলের ঠাণ্ডাজনিত এসব রোগ দেখা দেয়। গবাদিপশুর ঠাণ্ডাজনিত রোগের কারণে খামারি কিংবা এসব পশু মালিকদের নানা সমস্যার পড়তে হয়। সতর্কতার সহিত কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে গবাদিপশু তথা ছাগলের ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে রক্ষা করা যায়। আসুন জেনে নেই শীতকালে ছাগলকে কিভাবে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে হয় –
ছাগলকে শীতের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষার উপায়ঃ
১। শীতকালের শুরুতেই ছাগল থাকার ঘরটি এমন ব্যাবস্থা করতে হবে যেন বাইরের তাপ ভিতরে ঢুকতে না পারে এবং ভিতরের তাপ বাইরে বের হতে না পারে।
২। শীতে ছাগলের নতুন পশম গজায় যা তাকে গরম থাকতে সাহায্য করে। বেশিরভাগ জাতের ২ স্তরে পশম থাকে। উপরে বড় পশম ও নিচে ছোট পশম। পশমের বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ছাগলকে মিনারেল দিতে হবে।
৩। শীতকালে ডিহাইড্রেশন এড়ানোর জন্য পানি অত্যাবশ্যক। ছাগলকে স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য তাদের প্রচুর পরিমাণে পরিষ্কার পানি দিতে হবে।
৪। ছাগলকে শরীরের ভিতর থেকে তাপ তৈরি করার জন্য বেশি আঁশ যুক্ত ঘাস, ডাল জাতীয় শস্যের গাছ বা ভুষি খাওয়াতে হবে। ছাগলকে যদি কেবলমাত্র শস্য সরবরাহ করা হয় এবং কোন খড় না খেতে পারে তবে তারা মৃত্যুবরণ করতে পারে।
৫। সঠিক ভেন্টিলেসনের মাধ্যমে খামারের বিষাক্ত গ্যাস বের করতে এবং পরিষ্কার বাতাস আনতে হবে। বিষাক্ত গ্যাস যেন খামারের নিচ দিয়ে বের হতে পারে এমন সিস্টেম করতে হবে। আর পরিষ্কার বাতাস আসার ব্যবস্তা করতে হবে খামাদের উপরের দিকে।
৬। ছাগলের বিশ্রাম করার বা ঘুমানোর জায়গা সবসময় শুকনো থাকতে হবে। বিছানা ঠাণ্ডা হলে শরীর থেকে তাপ বের হয়ে যাবে। বিছানা যেন ঠাণ্ডা না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৭। সুস্থ ছাগলকে কোন প্রকার ভারী কভার দেওয়া যাবে না। কভার ও পশমের ঘর্ষনের ফলে পশম উঠে যাবে কিংবা পশম সঠিক বৃদ্ধি পাবে না। তবে ছাগল অসুস্থ থাকলে তাকে কভার দিতে হবে।
৮। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, বাতাস বা বৃষ্টি না হলে ছাগলকে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে নেওয়া যেতে পারে। এ সময় হাঁটাহাঁটি, লাফালাফি ও দৌড়াদৌড়িতে ছাগলের শরীরে তাপ উৎপন্ন হবে।
লেখা ও ছবিঃ সংগৃহীত
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৫ডিসেম্বর২০২০