ছাগলের নাইট্রেট বিষক্রিয়ার লক্ষণসমূহ আমাদের অনেকেরই জানা নেই। ছাগল আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পালন করা হয়ে থাকে। আবার কেউ কেউ ছাগলের খামার গড়ে তোলার মাধ্যমে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলছেন।
ছাগল পালনের সময় অনেক সময় জটিল সব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এসব জটিল সমস্যার মধ্যে ছাগলের নাইট্রেট বিষক্রিয়া অন্যতম। আসুন আজ জেনে নেই যেসব লক্ষণ দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে ছাগল নাইট্রেট বিষক্রিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে-
ছাগলের নাইট্রেট বিষক্রিয়ার লক্ষণসমূহঃ
ছাগলের যেসব লক্ষণ দেখে বুঝতে হবে যে ছাগলের নাইট্রেট বিষক্রিয়া হয়েছে সেগুলো নিচে দেওয়া হল-
১। ছাগলের নাইট্রেট বিষক্রিয়া হলে ছাগল খুব দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে থাকে। এই সময়ে ছাগলকে খুব অস্থির দেখায় এবং ছাগলকে হাপিয়ে উঠতে দেখা যায়।
২। ছাগল নাইট্রেট বিষক্রিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হলে অস্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে থাকে। এই সময় ছাগলকে অস্থিরভাবে লাফাতেও দেখা যায়। এমন বিষক্রিয়া দেখা দিলে ছাগল অনেক সময় শিং দিয়ে গুতাগুতি করতে থাকে।
৩। নাইট্রেট বিষক্রিয়ার দ্বারা ছাগল আক্রান্ত হলে ছাগলের মাংসপেশীতে খিচুনি দেখা দেয়। আবার অনেক সময় ছাগলের মাংসপেশী কাঁপতে দেখা যায়। এই সময় ছাগলকে অস্থিরভাবে শরীর ও পা নাড়াতে দেখা যায়।
৪। ছাগলের নাইট্রেট বিষক্রিয়া হলে অনেক সময় পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। এই সময় ছাগলকে ঘন ঘন পায়খানা করতে দেখা যায়। এর ফলে ছাগলের শরীর ধিরে ধিরে দুর্বল হয়ে পড়ে।
৫। ছাগল নাইট্রেট বিষক্রিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হলে ছাগলকে ঘন ঘন প্রস্রাব করতে দেখা যায়। এই সময়ে ছাগলের হৃৎস্পন্দন খুব দ্রুত হতে থাকে এবং ছাগলকে দুর্বল দেখা যায়।
৬। ছাগলের পেটে তীব্র গ্যাসের সৃষ্টি হয় এবং ছাগল অস্থির হয়ে পড়ে। এই সময় ছাগলের মুখ দিয়ে ফেনা পড়তেও দেখা যায়।
৭। ছাগলের নাইট্রেট বিষক্রিয়ার ফলে যেসব দীর্ঘ সমস্যার সৃষ্টি হয় সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্যা হল- ছাগলের শারীরিক বৃদ্ধি কমে যাওয়া, ছাগির ক্ষেত্রে দুধ উৎপাদন কম হওয়া এবং ছাগির গর্ভপাত হওয়াসহ নানা জটিল সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৫এপ্রিল২০