ছাগলের বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয়

6

ছাগলের বাচ্চার নিউমোনিয়া প্রতিরোধে করণীয় কি সে বিষয়ে আমাদের অনেকেরই তেমন কোন ধারণা নেই। ছাগল পালনে ছাগলের বাচ্চার যত্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পালনকারীর অবহেলা কিংবা পরিবেশগত কারণে ছাগলের বাচ্চা অনেক সময় নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। ছাগলের বাচ্চা যেসব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া অন্যতম। আজকে তাহলে জেনে নিব ছাগলের বাচ্চার নিউমোনিয়া প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে-

ছাগলের বাচ্চার নিউমোনিয়া প্রতিরোধে করণীয়ঃ
ছাগলের বাচ্চার নিউমোনিয়া সাধারণত তীব্র শীত কিংবা অতি বৃষ্টি হলে বেশি দেখা যায়। শীত ও বর্ষাকালে ছাগলের বাচ্চাকে সঠিকভাবে যত্ন নিতে না পারলে বাচ্চা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আর আক্রান্ত ছাগলের বাচ্চাকে সঠিকভাবে যত্ন নিতে না পারলে বাচ্চার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

রোগের কারণঃ

১। ছাগলের বাচ্চা যে ঘরে থাকে সেখানে প্রয়োজনীয় আলো ও বাতাস ঠিকভাবে না পৌঁছালে।

২। খাদ্য, পানি কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়াতে পারে।

৩। ছাগলের বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগলেও এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

৪। ছাগলের বাচ্চাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে গেলেও এই রোগ হতে পারে।

৫। এছাড়াও আক্রান্ত ছাগলের সরাসরি সংস্পর্শেও এই রোগ ছাগলের বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করে থাকে।

রোগের লক্ষণসমূহঃ

১। সাধারণত কম বয়সের ছাগলের বাচ্চা এই রোগের দ্বারা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। ছাগলের বাচ্চা নিউমোনিয়া রোগের দ্বারা আক্রান্ত হলে কাশি, শ্বাসকষ্ট, নাক দিয়ে তরল পদার্থ নিঃসরণ, মুখ থেকে ফেনা বের হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।

২। অনেক ক্ষেত্রে ছাগলের বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফা. পর্যন্ত হয়ে থাকে।

৩। ছাগলের বাচ্চা অনেক সময় খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং ঝিমাতে থাকে। এই রোগে আক্রান্তের হার ১০০% এবং মৃত্যুর হার ২০-১০০% পর্যন্ত হয়ে থাকে।

রোগের প্রতিরোধঃ

১। ছাগলের বাচ্চা যাতে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত না হয় সেজন্য নিয়মিত ছাগলের ঘর পরিষ্কার করতে হবে। ঘরে যাতে কোন পানি না থাকে কিংবা ঘর যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

২। ছাগলের ঘরে যাতে প্রয়োজনীয় আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ছাগলের ঘর তৈরি আগেই সেই পরিকল্পনা করতে হবে।

৩। ছাগলকে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাদ্য খাওয়াতে হবে। খাদ্য প্রদানের পর প্রতিবার খাবার পাত্র পরিষ্কার করে রেখে দিতে হবে।

৪। কোন ছাগল আক্রান্ত হলে সেটিকে আলাদা করে পরিচর্যা ও চিকিৎসা করাতে হবে।

৫। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।