ছাগলের জন্য প্রয়ােজনীয় পুষ্টির পরিমাণ ছাগলের জন্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন হারে প্রয়ােজন হয়।
ছাগলের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের চাহিদা ।
১ . শুষ্ক পদার্থ মাংস উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত ছাগলের ক্ষেত্রে দৈহিক ওজনের ২.৫ ( dry matter ) ৩.০% এবং দুধ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত ছাগলের দৈহিক ওজনের ৪.৮% শুল্ক পদার্থ প্রয়ােজন।
২ . শক্তি (energy)
ক . জীবনধারণের জন্য ছাগলের প্রতি কেজি জীবিত ওজনের জন্য শর্করা ও শর্করা সমতুল্য অর্থাৎ হে প্রতিদিন ৭ – ৮ গ্রাম শর্করা বা শর্করা সমতুল্য খাদ্য সরবরাহ করা বা চর্বিজাতীয় খাদ্য প্রয়ােজন।
খ . দৈহিক বৃদ্ধির জন্য এক গ্রাম দৈহিক ওজন বৃদ্ধির জন্য তিন গ্রাম শর্করা বা শর্করা সমতুল্য খাদ্য প্রয়ােজন।
গ . দুধ উৎপাদন প্রতি লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ৩০০ গ্রাম খাদ্যের ( শর্করা বা শর্করা সমতুল্য ) প্রয়ােজন।
৩ . আমিষ (protein)
ক , জীবনধারণের জন্য ও একটি ১০ কেজি ওজনের ছাগলের জন্য ৪.৫ ৬.৪ গ্রাম পরিপাকযােগ্য অশােধিত আমিষ ( digestible crude protein ) প্রয়ােজন।
খ . দুধ উৎপাদনের জন্য প্রতি লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ৭০ গ্রাম অশােধিত আমিষ প্রয়ােজন।
৪ . পানি (water) ১৮ – ২০ কেজি ওজনের ছাগলের জন্য দৈনিক ০.৫ – ১.০ লিটার পানির প্রয়ােজন।
৫ . শুষ্ক খাদ্য ও পানির অনুপাত।
(শুষ্ক খাদ্য ও পানি) ১ – ৪
৬ . খণিজপদার্থ (minerals) । ছাগলের প্রতি কেজি জীবিত ওজনের জন্য ১৪৭ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৭২ মিলি গ্রাম ফসফরাস প্রয়ােজন। সুত্রঃ PDF file.
খাদ্য উপকরণে যে পুষ্টি উপাদান অধিক পরিমানে থাকে তাকে সে জাতীয় খাদ্য বলে।
শর্করা জাতীয় খাদ্য (ভুট্টা, গম, কাওন, চাউলের কুঁড়া, গমের ভুষি , ইত্যাদি)।
আমিষ জাতীয় খাদ্য (সয়াবিন মিল , তিলখৈল , শুটকিমাছ , মিটমিল , ইত্যাদি)
চর্বি জাতীয় খাদ্য (এনিমেল ফ্যাট, ভেজিটেবল অয়েল, সার্কলিভার ওয়েল, ইত্যাদি)
ভিটামিন জাতীয় খাদ্য (শাকসজি ও কৃত্রিম ভিটামিন)
খনিজ জাতীয় খাদ্য (ঝিনুক, ক্যালশিয়াম ফসফেট, রকসল্ট, লবন, ইত্যাদি )
বিশুদ্ধ পানি কোন বিকল্প নাই
প্রাণী খাদ্য না খেয়েও কিছু দিন বাঁচতে পারে, কিন্তু পানি ছাড়া সামান্য কিছু দিনের বেশী বাঁচে না।
> সাধারণত দেহ থেকে পানির ক্ষয় হয় মলমূত্র ও শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে।
> অপরদিকে পানি আহরিত হয় পানি পান করে, রসালাে খাদ্য গ্রহণ করে এবং দেহের ভিতর বিভিন্ন পুষ্টি উপদানের অক্সিডেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
> দেহের বেশির ভাগ অংশ পানি দ্বারা গঠিত।
প্রাণির দেহে পানির কাজ।
১ খাদ্যতন্ত্রের মধ্যে খাদ্য বস্তু নরম ও পরিপাকে সাহায্য করে।
২ খাদ্যতন্ত্রের মধ্যে পুষ্টি উপাদান তরল করে দেহের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিবহণ করে।
৩ দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও দেহকে সতেজ রাখে।
৪ দেহের ভিত্তিতে দুষিত পদার্থ অপসারণ করে।
৫ দেহের গ্রন্থি হতে নিঃসৃত রস, হরমােন, এনজাইম এবং রক্ত গঠনে ভূমিকা রাখে।
প্রাণির খাদ্যকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায় যেমন –
১ . আঁশ বা ছােবড়া জাতীয় খাদ্য, যেমন খড়, সবুজ ঘাষ বা কাঁচা ঘাষ, ইত্যাদি। ২ . দানাদার জাতীয় খাদ্য, যেমন ভুট্টা, গমের ভূষি, খেসারি ভাঙ্গা, তি বা বাদাম খৈল, ইত্যাদি।
৩ . সহযােগী অন্যান্য খাদ্য যেমন ও খনিজ উপাদান, ভিটামিন ইত্যাদি।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৬মার্চ২০