ছাগল পালন হতে পারে দারিদ্র বিমোচনের হাতিয়ার

831

[su_slider source=”media: 2018,2017,2019″ title=”no” pages=”no”]

ছাগল গৃহপালিত প্রাণিদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাণিসম্পদ। ছাগল এদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের অন্যতম উৎস। একে অনেক সময় “গরিবের গাভী” বলে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশে প্রায় আড়াই কোটি ছাগলের অধিকাংশই ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের। দ্রুত প্রজননশীলতা, উন্নত মাংস ও চামড়ার জন্য ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বিশ্ব বিখ্যাত। ছাগল পালনের বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বানিজ্যিকভাবে ছাগল পালনে আগ্রহী খামারী সংখ্যা অনেক কম। আমাদের দেশে যথাযথভাবে ছাগল না পালার কারনে প্রতি বছর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর ছাগল মারা যায়।

ছাগল পৃথিবীর অনেক দেশে হাজার বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ গৃহপালিত পশু হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। প্রায় ১১ হাজার বছর পূর্বে পৃথিবীতে প্রথম ছাগল পালন শুরু হয়। অনেকের মতে ছাগল বিশ্বের প্রথম গৃহপালিত পশু। বিশ্বের প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ছাগলের মধ্যে ৯০% পালিত হয় উন্নয়নশীল দেশে। যার মধ্যে ৬৪% আছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায়, ৩০% আফ্রিকায়, ৩.৩% উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকায়, ২.৩% ইউরোপ এবং ০.৪% ওসেনিয়ায়। এশিয়ায় প্রাপ্ত  ছাগলের প্রায় ৭১% পালন করেন ক্ষুদ্র খামারীরা। বাংলাদেশের প্রায় আড়াই কোটি ছাগলের মধ্যে ৫২% ই পালন করে প্রান্তিক চাষীরা। “ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম”