ফুলদানি সাজাতে জারবেরার জুড়ি নেই। কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে ও জারবেরা ব্যবহারিত হয়। জারবেরা বিদেশী ফুল হলেও আমাদের দেশেও এর প্রচুর চাহিদা আছে। সূর্যমুখীর মতো দেখতে আমাদের দেশে লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপি, কমলাসহ বেশ কয়েকটি রঙের জারবেরার চাষ হয়। সারা বছরই এই জারবেরা ফুল ফোটে। একটি গাছ থেকে বছরে ৫০ থেকে ৬০টি ফুল পাওয়া যায়। সাধারণত জারবেরা ফুল গাছ থেকে তোলার পরও ১০-১২ দিন সতেজ থাকে। ফলে এই ফুলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি জারবেরা চাষের জন্য উপযুক্ত। জারবেরা গাছ এর জন্য পলিথিনের শেড তৈরি করে নিতে পারলে ভাল হয়। এক সময় ভারতের টিস্যু কালচারের চারার উপর করলেও বর্তমানে বাংলাদেশেই এর চারা উৎপাদন হচ্ছে ।
বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু জারবেরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। চোখ জুড়ানো বাহারি রঙের কয়েকটা জারবেরার গাছ ছাদে রাখলে ছাদের সৌন্দর্য অসম্ভব বৃদ্ধি পায়। ছাদে এর চাষ করতে হলে জারবেরা গাছগুলোকে অন্য গাছের ছায়ায় রাখা যেতে পারে। তাতে হালকা রোদও পাবে আবার হালকা ছায়াও পাবে। টবে যাতে বৃষ্টির পানি জমে না থাকে তা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
ভাল ফলাফলের জন্য :
১) টবকে হালকা রোদে রাখতে হব
২) জারবেরার ফুল মরে যেতে শুরু করলে ফুলের ষ্টিক একদম গোড়ায় কেটে ফেলতে হবে।
৩) টবের মাটি যাতে বেশি শুকিয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪) কোনক্রমেই গাছের গোড়ায় পানি জমতে দেয়া যাবে না।
৫) জারবেরা গাছের পাতা মরে গেলে মরা পাতা কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলতে হবে ।
৬) ১৫-২০ দিন পরপর সরিষার খৈল পচা পানি পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিতে হবে।
৭) টবের মাটি মাঝে মাঝে খুচিয়ে দিতে হবে।
৮) ফুল তোলার সময় বোটা একটু লম্বা রাখতে হবে এবং ফুল তৃযকভাবে কাটতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৮মার্চ২০২১