জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সুন্দরবন অঞ্চলের কাঁকড়া চাষ

618

সুন্দরবনের-কাঁকড়া

প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগে চিংড়ি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষিরা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য চাষিরা এখন কাঁকড়া চাষে মনোযোগী হচ্ছেন। বিশ্ববাজারে সুন্দরবন অঞ্চলের কাঁকড়ার চাহিদা বাড়ছে। ফলে চিংড়িচাষে ঝুঁকি থাকলেও কাঁকড়া চাষে প্রান্তিক চাষিরা রয়েছেন শঙ্কামুক্ত।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো খুলনার তথ্য থেকে জানা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছর প্রথম ৫ মাসে ১২ লাখ ২০ হাজার ৭৫৬ দশমিক ৬ ডলার বেশি কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরে কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৯৫৫ দশমিক ৪৩ ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে ২৬ লাখ ৬১ হজার ৭১২ দশমিক ৩ ডলার। যা ৮৪ দশমিক ৭১ ভাগ বেশি।

চিংড়ির চেয়ে বেশি লাভজনক হওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও কয়রা, বাগেরহাটের রামপাল, মংলা, বাগেরহাট সদর ও শরণখোলা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলায় কাঁকড়া চাষ বেড়েছে। খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৮ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার ৯৮৯ টন কাঁকড়া উৎপাদন হয়েছে।

চীনের পাশাপাশি আরো ছয়টি দেশে সুন্দরবন অঞ্চলের কাঁকড়ার চাহিদা বেড়েছে। ফলে এ দেশগুলোতে সুন্দরবন অঞ্চলের কাঁকড়ার রপ্তানিও বেড়েছে। গত পাঁচ মাসে ২৬ লাখ ৬১ হাজার ডলার মূল্যের কাঁকড়া চীন, তাইওয়ান, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি হয়েছে।

এ সব দেশে হিমায়িত চিংড়ির চেয়ে সুন্দরবন অঞ্চলের কাঁকড়া বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কাঁকড়ায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও বেশি হচ্ছে। কাঁকড়া চাষে রোগ-বালাই কম হওয়ায় ও দাম ভালো পাওয়ার কারণে সুন্দরবন সংলগ্ন ১৩ উপজেলায় কাঁকড়ার চাষ বেড়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো খুলনা সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৭১২ দশমিক ৩ ডলার মূল্যের কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে