দ্বীপ জেলা ভোলায় জমে উঠেছে কোরবানীর পশুরহাট। ভারতের গরু না আসায় বেশ খুশি বিক্রেতারা আর ক্রেতাদের অভিযোগ বরাবরের মতই একটু দাম বেশি। ভোলায় শেষ সময় জমে উঠেছে কোরবানীর পশুরহাট। প্রতিদিন বিভিন্নস্থানে বসছে পশুরহাট। যে কারনে ক্রেত-বিক্রেতা যেন কারোই ফুসরত নেই বসে থাকার। একহাট থেকে ছুটছেন আরেকহাটে।
ভোলার হাটগুলোতে বেশ ভালো গরু উঠেছে। সেই সাথে ক্রেতাদের সমাগম বেশ ভালো। ক্রেতারা বুঝেশুনে ক্রয় করছেন পছন্দের গরুটি। বিক্রেতাদের সাথে আলাপে জানা যায়,তাঁরা গরু বিক্রি করে বেশ আনন্দীত। যার কারন ভারতের গরু এসব হাটে না উঠায়।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশার হাটে গরু কিনতে আশা মোহাম্মদ আলী বলেন, এবছর সব দেশী গরু দেখে ভালোই লাগছে। তবে দাম গতবছরের তুলনায় একটু বেশি। তারপরেও আমার দেশের খামারীরা দাম পাব ভেবেই আমার ভালো লাগছে।
এদিকে ১০টি গরু নিয়ে বিক্রি করতে আসা মো: ইসরাফিল মহাজন বলেন, এবছর তিনি ১০টি গরু দেশীয় খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে মোটাতাজা করেছেন। আশা করছেন তার সব গরু বিক্রি হবে। ইতিমধ্যে ৩টি বিক্রি করেছেন। তার গরু বেশি বড় না হলেও চোখে পড়ার মত।
অপরদিকে ভোলার গরুর চাহিদা ভালো থাকায়,বেশি লাভের আশায় বাহির থেকে গরু ব্যবপারীরা ভোলায় আসছেন। তাঁরা এখানকার গরু ক্রয় করে প্রতিদিন ট্রাকে বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা আর চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এমন এক ব্যাপারী মো: আলম ঢালী বলেন,কোরবানীর সময় এই ব্যবসা করেন। এটা তার মৌসুমী ব্যবসা। ভোলার গরুর চাহিদা বেশি। কারন এখানকার গরুগুলো বিভিন্ন চরাঞ্চলের খাবারে রিস্টপুস্ট হয় বলে। তাই তিনি প্রতিবছরে এখান থেকে গরু কিনে ঢাকায় বিক্রি করে থাকেন। ইতিমধ্যে সে শতাধিক গরু নিয়েছেন ভোলা থেকে। যার মধ্যে অন্তত ৪০টি বিক্রি হয়েছে। আশা করছেন এবছর বেশি লাভবান হবেন।
এদিকে গরুরহাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছেন । সাদা পোষাকে ও পোষাকে রয়েছে পুলিশের সদস্যরা বলে জানালেন ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/জাকির