জাব পোকার ক্ষতির ধরন ও দমন পদ্ধতি

1437

89154338_2578159365646309_7426281875380895744_n
জাব পোকা

জাব পোকা দমন ব্যবস্থা যেটি শিম/বরবটি/মরিচ গাছ সহ অনেক গাছেই আক্রমন করে থাকে

পোকা চেনার উপায় : পোকা দেখতে খুবই ক্ষুদ্র। এদের পাখা বা পাখাহীন উভয় অবস্থায় দেখা যায়।

ক্ষতির ধরন:

 পূর্ণবয়স্ক ও নিম্ফ উভয় পাতা, কচি কান্ড ও ফুলের রস চুষে খায়।
 গাছ দুর্বল ও হলুদ হয়, পাতা কুঁকড়ে যায়,ফুলের কুড়ি ও কচি ফল ঝরে যায়।
 পোকা ক্রনিক্যাল দ্বারা মধু রস নিঃসরণ করে,তাতে সুটিমোল্ড ছত্রাক জন্মে।
আক্রান্ত অংশ কালো দেখায়, কচি ডগা মারা যায়।

দমন ব্যবস্থা :

আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার/২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, চারা, সব

পোকামাকড় জীবনকাল : পূর্ণ বয়স্ক, নিম্ফ

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কাণ্ড , পাতা , ডগা , কচি পাতা , ফল , ফুল
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : পূর্ণ বয়স্ক , নিম্ফ

ব্যবস্থাপনা :

নিকটস্থ বাজারের অনুমোদিত বালাইনাশক বিক্রেতার নিকট হতে বালাইনাশকের মেয়াদ যাচাই করে বালাইনাশক কিনুন।
অন্যান্য :
 পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ও আক্রান্ত অংশ পোকাসহ সংগ্রহ করে পুতে ফেলা।
 সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার ও শস্য পর্যায় অবলম্বন করা।
 বেডে লাইনে দূরত্ব বজায় রেখে চারা রোপন করা।
 কেরোসিন মিশ্রিত ছাই পাতায় ছিটিয়ে পোকা প্রতিরোধ করা য়ায়।
 সাবানযুক্ত পানি স্প্রে করা যায় অথবা আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম নিমবীজ ভেঙ্গে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়। এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০ গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫ গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১১মার্চ২০