জামালপুরে আঞ্চলিক গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

330

[su_slider source=”media: 4427,4428,4429″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]

কাজী গোলাম মাহবুব, জামালপুর থেকে: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন শীর্ষক তিন দিনের কর্মশালা গত ২৭ এপ্রিল জামালপুরের আরএআরএস সেমিনারকক্ষে শেষ হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে এ উপলক্ষে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (আরএআরএস) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আব্দুল মালেক’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. বিরেশ গোস্বামী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর; (ডিএই) ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ অমিতাভ দাস, ডিএই জামালপুরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. রেজাউল করিম, নেত্রকোনার উপপরিচালক কৃষিবিদ বিলাস চন্দ্র পাল এবং শেরপুরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন আরএআরএস’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মঞ্জুরুল কাদির।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, খরা সহিঞ্চু, বন্যা সহিঞ্চু, লবণাক্ত সহিঞ্চু এসবের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে কিভাবে ফসল উৎপাদন করা যায়, সে কাজ করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, গবেষকদের কাছে দাবি এখন অনেক। আমরা সম্প্রসারণ কর্মিরা গবেষকদের দিকে চেয়ে থাকি, তারা নতুন কি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি কৃষকের জন্য নিয়ে আসছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সবাই আত্মবিশ্বাসী, যে কোনো দুর্যোগ আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম। আরেক বিশেষ অতিথি জামালপুরের উপপরিচালক বলেন, জামালপুর হচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ জেলা। এখানকার কৃষকেরা ম্যাক্সিমাম শ্রম ইনভেস্ট করে থাকে। তিনি আরো বলেন, এ মৌসুম একটি মেগা মৌসুম। আর ব্রি ধান-২৯ একটি মেগা ভেরাইটি। তাই একে টিকিয়ে রাখতে হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি উপস্থিত কৃষি বিজ্ঞানীদেরকে কর্মশালায় গৃহীত গবেষণামূলক কার্যক্রম ও এর ফলাফল উপস্থাপন এবং পরবর্তী বছরের কর্মসূচি প্রণয়নপূর্বক নিজ নিজ কর্তব্য পালনের জন্য উদাত্ত আহবান জানান। কৃষি বিজ্ঞানী ড. মঞ্জুরুল কাদির তার বক্তব্যে বলেন, এ বছর কৃষি ক্ষেত্রে নানান দুর্যোগ বয়ে যাচ্ছে। মনোবল শক্ত রেখে আমাদেরকে স্ব স্ব কর্তব্য পালন করে যেতে হবে। তিনি ফল, সবজি ও মাঠ ফসলের উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে কৃষি তথ্য সার্ভিসের সহকারি তথ্য অফিসার কাজী গোলাম মাহবুবসহ ডিএই ময়মনসিংহ অঞ্চলের জেলাসমূহের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।