মাটি
বেলে মাটি ব্যতীত সব ধরনের মাটিতেই জাম্বো ঘাস চাষ করা যায়। তবে এটেল ও দোআঁশ মাটিতে ফলন বেশি হয়। মাটির PH ৬-৮ এর মধ্যে হলে ভাল হয়।
বপনের সময়
সারা বৎসর এই ঘাস চাষ করা যায়। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বরে চাষ করলে বন্যার পানি আসার পূর্ব পর্যন্ত প্রায় চার থেকে পাঁচ বার কাটা যায়।
জমি তৈরি
২-৩ বার মাটি চাষ করে ঘাস রোপণ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।
বপন পদ্ধতি ও বীজের পরিমাণ
এই ঘাসের বীজ ১ ফুট পরপর লাইন করে ৬ ইঞ্চি পরপর ২টি বীজ প্রতি গর্তে বপন করা যায়। এছাড়া ছিটিয়েও বপন করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে লাইন করে বপন করলে ৩-৪ কেজি বীজ লাগে। এছাড়া ছিটিয়ে বোনা হলে ৫-৬ কেজি বীজের দরকার হয়।
সার প্রয়োগ
বিঘা প্রতি গোবর সার ১৫০০-২০০০ কেজি, ডিএপি সার ১৫-২০ কেজি ও ইউরিয়া সার ৫ কেজি প্রয়োগ করতে হয়। প্রতি মাসে ঘাস কাটার পর ৫ কেজি ইউরিয়া সার ছিটিয়ে সেচ দিলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।
ঘাস কাটা
বপন করার ৪৫/৫০ দিন পর প্রথম বার কাটা যায় এবং পরে প্রতি মাসে ১ বার করে কাটা যায়। ১ বিঘা জমিতে উৎপাদন প্রায় ৮০০০-১০০০০ কেজি হয়ে থাকে যার মূল্য প্রায় ৫০০০-৬০০০ হাজার টাকা।
ঘাসের পরিচর্চা
এই ঘাসের জন্য কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন পড়ে না। প্রতিবার কাটার ৭ দিন পর সেচ দিতে হয় এবং ইউরিয়া সার দিলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।
ঘাসের গুনাগুনঃ
১. দ্রুত বর্ধনশীল উচ্চ দিগুণ ফলনশীল।
২. ৩৫-৪০ দিনেই অনেক বড় হয় ।
৩. এই ঘাসের গোড়া মোটা হয় কিন্ত নরম হয়।
৪, জাম্বু ঘাস সারা বছর চাষ করা যায়।
৫. এই ঘাস গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া,গাড়ল,সবাই ভালো খায়।
৬. এই ঘাস খেলে গাভীর দুধের পরিমাণ বেড়ে যায়।
৭. এই ঘাস কেটে সহজে অন্য ফসল চাষ করা যায়।
৮.জাম্বু ঘাসে বেশী যত্ন প্রয়োজন হয় না।
৯. হাইব্রিড জাম্বু ঘাস ৫-৬ফুট পযন্ত লম্বা হয়।
১০..এই ঘাসের শিকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করে এজন্য শুকনো মাটিতে ফলন ভালো হয়।
১১. ঘাসে ৮-১০% ক্রুড প্রোটিন এবং ২% ক্রুড ফ্যাট।
১২.হজম যোগ্য এনার্জি ১০.৯” মেজুল/ কেজি।
১৩. ক্যালসিয়াম ৪.১ গ্রাম।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৪ডিসেম্বর২০২০