জার্মানিতে বছরে প্রায় তিন হাজার মিলিয়ন টন দুধ উৎপাদন হয়৷ অনেক তরুণ রীতিমতো বিশ্ববিদ্যালয়ে খামার নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে বিরাট বিরাট খামার শুরু করেন৷ সাফল্যও পাচ্ছেন৷ আজ আপনাদের তেমনি একটি গরুর খামারের গল্প বলবো আপনাদের । যেখানে মাত্র দুই জন খামারী পুরো খামার দেখাশুনা করে খুব সহজে। আমাদের দেশে সেটা কি সম্ভব?
জার্মানির শহর কোলনের কাছের একটি গ্রামে অবস্থিত এ খামার। খামারের মালিকের মেয়ের নাম নোরা ভাইগ। তার এই পশুর খামারে ১০০টি গরু ও ৬ টি ঘোড়া রয়েছে।
এত বড় খামারটি চালান মাত্র দুই জনে। শুনতে আশ্চর্য লাগছে? লাগারই কথা কেননা নোরা ও তার বাবাই মূলত খামারটি পরিচালিত করেন। কেননা তারা যন্ত্রেই সাহায্যেই পুরো খামারটি পরিচালিত করেন। পশুদের খাবার, পানি দেয়া দুধ সংগ্রহ ও তাদের যত্ন করা হয় যন্ত্রেই সাহায্যেই।
নোরা পশু পালন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। তাই তিনি জানেন কোন খাবার পশুর জন্য উপকারি আর তাদের কোন তাপমাত্রায় কীভাবে পতিপালন করতে হয়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে জার্মানিতে বাংলাদেশের মতো প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গরু পালন করা হয় না। এখানে খামারেই গরু পালন করা হয়। একেকটি খামারে গড়ে ৬২টি গরু থাকে। তাই দুধ উৎপাদনে খরচ একটু বেশি হলেও অর্থনৈতিকভাবে খামারিরা লাভবান হন। তথ্যসূত্র: ডিডব্লিউ।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন