জেনে নিন কলা সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

3170

কলা

আমরা অনেক সময়ই কলা দেখলে নাক কুঁচকে ফেলি, কিন্তু প্রতিদিন অন্তত একটি করে কলা খাওয়ার কী কী উপকারিতা আছে তা জানা থাকলে নাক কুঁচকে হলেও অনেক স্বাস্থ্য-সচেতন মানুষ কলা খাবেন, তা হলপ করে বলা যায়।

আসুন জেনে নেয়া যাক কলার অজানা কিছু উপকারিতার কথা:

পুষ্টি উপাদান (প্রতি ১০০ গ্রামে) ফলন: ৩৫-৫০ মে.টন/হেক্টর
জলীয় অংশ (মস)- ৬২.৭
মোট খনিজ পদার্থ (মস) ০.৯
হজমযোগ্য আঁশ (মস) ০.৪
খাদ্যশক্তি (শপ) ১০৯
আমিষ (মস) ০.৭
চর্বি (মস) ০.৮
শর্করা (মস) ২৫.০
ক্যালসিয়াম (সম) ১৩
লৌহ (সম) ০.৯
ক্যারোটিন (সম) ০
ভিটামিন বি১ (সম) ০.১০
ভিটামিন বি২ (সম) ০.০৫
ভিটামিন সি (সম) ২৪

ইংরেজি নাম : Banana
বৈজ্ঞানিক নাম : Musa sapientum

জাত : ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে কলার জাতকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ক. পাকা ফল হিসেবে খাওয়ার কলা তিনভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- সম্পূর্ণ বীজমুক্ত কলা: যেমন- সবরি, অমৃতসাগর, বারি কলা- ১, ৩, ৪, ৫, মেহেরসাগর, অগ্নিশ্বর, কানাই বাসি, ভেলেরি। অল্পসংখ্যক বীজযুক্ত কলা চাপা, চিনি চাঁপা, কবরি, গেলা সুন্দরী। বীজ যুক্ত কলা তুলা আইটা, গোমা আইটা, মনোহর। খ. কাঁচা কলা বা অ্যানিজ কলা: বারি কলা-২, কাঁঠালি, মন্দিরা, বেহুলা, বড়ভাগনে, আনাজি ইত্যাদি।

পুষ্টিগুণ : কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি, শর্করা, বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ পদার্থ রয়েছে।

ঔষধিগুণ : পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ব্যবহার করা হয়। কলার থোড়-মোচা এবং শিকড় ডায়াবেটিস, আমাশয়, আলসার, পেটের পীড়া নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। কলা সহজপ্রাপ্য হওয়ায় রোগীর পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাকা বিচিকলা কৃমিনাশক ও পেটেরর নানা রকম পীড়া উপশমে মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

উৎপাদন এলাকা : নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, বগুড়া, বরিশাল, যশোর, মেহেরপুর, রংপুর এলাকায় ব্যাপকভাবে কলার চাষ হয়।