বাজারে পাওয়া যাচ্ছে পাকা আম। বাজার থেকে পাকা আম কেনার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। এই সময়ে বেশিরভাগ আম ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হয়ে থাকে। বাজারে আম কিনতে গেলে আম ওপরে দেখে বোঝার উপায় নেই পাকা নাকি কাঁচা।
আর কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই কেমিক্যাল শরীরে গেলে ত্বকের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, জরায়ুর ক্যান্সার, লিভার ও কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে।
পাকা আম চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে– বেশি চকচকে দেখায় এমন আম কিনবেন না। গাছপাকা আমের মিষ্টি গন্ধ থাকে।
পুষ্টিকর ভালো আম পেতে চাইলে ফলের মৌসুমের আগে কিনবেন না। আম খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।
কোন মৌসুমে কোন আম:
মূলত মে থেকে সেপ্টেম্বর মোট ৫ মাস আমের মৌসুম থাকে। সবচেয়ে বেশি আম পাওয়া যায় জুন থেকে জুলাই মাসে। তবে কোন আমটি কোন সময় পাওয়া যাবে সে বিষয়ে বেশিরভাগের সঠিক কোন ধারণা নেই।
এ বিষয়ে ফল বিভাগের মুখ্য বিজ্ঞানী মদন গোপাল সাহা জানান, বাংলাদেশের আমের মৌসুমকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায় । আগাম জাত, মধ্য মৌসুমি জাত এবং নাবি জাত।
মূলত মে থেকে সেপ্টেম্বর মোট ৫ মাস আমের মৌসুম থাকে।
মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি সময়ে পাকে আগাম জাতের আম।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বৃন্দাবনি, গুলাবখাশ, রানীপছন্দ, হিমসাগর, ক্ষীরশাপাত ও বারি-১।
জুনের মাঝামাঝি থেকে পাকতে শুরু করে মধ্য মৌসুমি আম এগুলো হল ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙ্গা, লক্ষণভোগ, খুদিক্ষীরশা, বারি-২, বোম্বাই, সুর্যপুরী ইত্যাদি।
জুলাই মাস থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পাকে নাবি জাতের আম। সেগুলো হল ফজলি, আম্রপালি, মোহনভোগ, আশ্বিনা, গৌড়মতি, বারি-৩, বারি-৪, ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে আম বাগান মালিকদের সঠিক সময়ে সঠিক আম বাজারে সরবরাহের আহ্বান জানান বিজ্ঞানী মদন গোপাল সাহা। এক্ষেত্রে বিক্রেতাদের বাণিজ্যিক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার পাশাপাশি ভোক্তাদের সচেতন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
গোপাল সাহা জানান, বাইরে থেকে কোনটা কেমিক্যালযুক্ত আম সেটা বোঝা কঠিন। তবে ক্রেতারা যদি কোন মৌসুমে কোন আম পাওয়া যাবে এ বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখেন এবং রাসায়নিক দেয়া আম কেনা থেকে বিরত থাকেন তাহলে অনেকাংশেই অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণা থেকে বাঁচা সম্ভব।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৭মে২০