ডেফল খেতে এতই টক যে, প্রাচীন বচনেও তার সরব উপস্থিতি রয়েছে যথা “ডেওয়া ডেফল, অতি চুকা নারিকেল” অর্থ্যাৎ ডেফল ডেওয়া খাওয়ার পর মিষ্টি নারিকেলও টক লাগে। ডেফল, বহু প্রাচীন এবং বাংলাদেশে অপ্রচলিত ফলের তালিকায় তার স্থান। আমাদের দেশে বানিজ্যিকভাবে ডেফল চাষাবাদ করা হয় না। কালে ভদ্রে কিছু সৌখিন মানুষ ডেফল গাছ লাগিয়ে থাকেন। ডেফল গাছ সাধারণত বনে জঙ্গলে, বন বাদাড়ে, ঝোপ ঝাড়, অগভীর বন, টিলা, পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে, বড় হয়, ফল হয় এবং বিস্তার ঘটে। ডেফল গাছের পরিচিতি ও বিস্তার ডেফল ঘন সবুজ পাতা বিশিষ্ট সপুষ্পক গাছ। ডেফল দেখতে অনেকটা ডাম্বেল আকৃতির হয়ে থাকে। চাকমা ভাষায় একে ডেমগোলা নামে ডাকা হয় আবার গারো সংস্কৃতিতে আরুয়াক নামে বিশেষ পরিচিত। ডেফলের আকার আকৃতি অনেকাংশে ডিমের মতো দেখতে বিধায় একে এগ ফ্রুট নামেও ডাকা হয়।
ডেফলের পুষ্টি উপাদান (প্রতি ১০০ গ্রামে) :
জলীয় অংশ (মস) ৮৩.২
মোট খনিজ পদার্থ (মস) ১.৩
হজমযোগ্য আঁশ (মস) ১.০
খাদ্যশক্তি (শপ) ৭৪
আমিষ (মস) ১.১
চর্বি (মস) ০.৭
শর্করা (মস) ১৪.৯
ক্যালসিয়াম (সম) ১৩৩
লৌহ (সম) ২.১
ক্যারোটিন (সম) ৪২.৯
ভিটামিন বি১ (সম) সামান্য
ভিটামিন বি২ (সম) সামান্য
ভিটামিন সি (সম) ১৮.০
ইংরেজি নাম : Egg Fruit, Daophal
বৈজ্ঞানিক নাম : Garcinia xanthochymus, Garcinia tinctoria, G. pictorius
জাত : বাংলাদেশে অনুমোদিত কোনো জাত নেই।
পুষ্টিগুণ : বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ সমৃদ্ধ পুষ্টিকর ফল।
ঔষধিগুণ : পরিপক্ব ফল বায়ুনাশক ও পিত্তদোষ কমায়। কাঁচা ফল থেতলিয়ে গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে দান্ত পরিষ্কার হয় এবং শরীরের মেদ কমে যায়।
উ’পাদন এলাকা : বাণিজ্যিকভাবে এ দেশে চাষ হয় না। তবে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের বনভূমিতে বেড়ে ওঠে।
ব্যবহার : সাধারনত ফল হিসেবে মুখের রুচি বাড়াতে ব্যবহার হয়। তাছাড়া অনেকে আচার তৈরী করে খান।
ফামর্সেএন্ডফার্মার২৪/জাকির