দুগ্ধ খামার বর্তমানে একটি লাভজনক শিল্প। গাভীর খামার বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্যবিমোচন, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশে দুধের চাহিদা পূরণে বিশাল ভূমিকা রাখছে।
এছাড়া গবাদি পশু পালন করে লাভজনক হতে হলে যথাযথ ভাবে খামার ব্যবস্থাপনা করা প্রথম শর্ত। আসুন দুগ্ধ খামার স্থাপনের গুরুত্ব ও পদ্ধতিগুলো জেনে নিই:
খামার স্থাপনের গুরুত্ব:
১. মানুষের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য দুধ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
২.খামার থেকে অধিক মুনাফা অর্জন করা।
৩. শ্রম ও পুঁজির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৪. গাভী দ্বারা আঁশজাতীয় খাদ্য এবং মানুষের খাদ্যের উচ্ছিষ্টাংশকে যথাযথ ব্যবহার করা যায়।
৫. ভূমির উর্বরতা সংরক্ষণ ও বৃদ্ধিতে গাভীর খামারের গুরুত্ব অপরিসীম।
৬. গাভীর খামার সারা বছরের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।
৭. গাভীর খামার মোটামুটি স্থায়ী ব্যবসা, অন্য যে কোনো কাজ অপেক্ষা শ্রেয়।
৮. পর্যাপ্ত দ্রব্য সামগ্রী যেমন- দই, ঘি, মিষ্টি ইত্যাদি উৎপাদনের ফলে দুগ্ধ খামার স্থায়ী ভালো বাজার সৃষ্টি করতে পারে।
৯. গোবর দ্বারা বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করে জ্বালানি ও আলোর ব্যবস্থা করা যায়।
১০. ষাঁড় বিক্রি করে আয় বৃদ্ধি করা যায়।
খামার স্থাপনের পদ্ধতি: আদর্শ ব্যবস্থাপনার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও সঠিকভাবে পরিচালনার মাধ্যমেই দুধ, মাংস উৎপাদন তথা গাভীর খামারকে লাভজনক করা সম্ভব।
১. খামারের সঠিক স্থান নির্বাচন:
– শুষ্ক ও উঁচু ভূমি -পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভালো হতে হবে
– সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থা – প্রয়োজনীয় জমির প্রাপ্যতা
– সুষ্ঠু নিষ্কাশন ব্যবস্থা- পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ
– মাটির প্রকৃতি ভালো হতে হবে- আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা।
– জনবসতি থেকে দূরে
– রাস্তা থেকে দূরে
২. আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান তৈরি:
৩. উপযোগী জাত ও গাভী বাছাই করা।
৪. নিয়মিত টিকা প্রদান, কৃমিনাশক এবং প্রজনন সমস্যাজনিত চিকিৎসা প্রদান।
৫. প্রজননের সঠিক সময় নির্ধারণ।
৬. নির্ধারিত রেশন মোতাবেক খাদ্য প্রদান করা।
৭. কাঁচা ঘাস ব্যবস্থাপনা।
৮. গর্ভবর্তী গাভী ব্যবস্থাপনা।
৯. বাছুর ব্যবস্থাপনা।
১০. সঠিক দুধ দোহন পদ্ধতি।
এছাড়া যে কোনো পরামর্শের জন্য নিকটস্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। জেনে নিন দুগ্ধ খামার স্থাপনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি শিরোনামে লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ৩০মে ২০২১