জেনে নিন পেঁপের মিলিবাগ/ছাতরা পোকা দমন করার সহজ কিছু পদ্ধতি

1513

পোকা চেনার উপায় : ৩-৪ মিলিমিটার আকারের গোলাপি রঙের, ডিম্বাকার, পেটে খাঁজকাটা দাগ আছে। গায়ে সাদা মোমের মতো আবরণ থাকে। পূর্বয়স্ক পুরুষ পোকার রং হালকা গোলাপি সাদা।

ক্ষতির ধরণ : দলবদ্ধভাবে ফল,পাতা ও ডালের রস চুষে নেয় ফলে গাছ দুর্বল হয়। পোকার আক্রমণে পাতা, ফল ও ডালে সাদা সাদা তুলার মত দেখা যায়। অনেক সময় পিঁপড়া দেখা যায়। এর আক্রমণে অনেক সময় পাতা ঝরে যায় এবং ডাল মরে যায়।

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা , ডগা , ফল

পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : লার্ভা , পূর্ণ বয়স্ক , কীড়া

ব্যবস্থাপনা :

পাতা ঝরে যায় এবং ডাল মরে যায়।

প্রতিকার :

১. আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

২. গাছের গোড়ার মাটি থেকে 15-20 সেমি উপরে স্বচ্ছ পলিথিন দ্বারা মুড়ে দিতে হবে যাতে মিলিমাগ গাছে উঠতে না পারে।

৩. সম্ভব হলে হাত দিয়ে ডিম ব বাচ্চার গাদা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।

৪. জৈব বালাইনাশক নিমবিসিডিন (0.4%) ব্যবহার করা।

৫. আক্রমণ বেশী হলে প্রতিলিটার পানিতে 2 মিলি রগর টাফগর, সানগর বা সুমিথিয়ন 2 মিলি মিপসিন বা সপসিন মিশিয়ে স্প্রে করা।
অথবা ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার।

অন্যান্য :

সাবানযুক্ত পানি স্প্রে করা যায় অথবা আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম নিমবীজ ভেঙ্গে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।

(সংগৃহীত)

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৪অক্টোবর২০