বিভিন্ন কারণে মুরগী জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। মুরগীকে সুস্থ রাখতে হলে সময় মতো জীবাণু দমন করতে হবে। আসুন জেনে নেই মুরগীর জীবাণু দমনের কৌশল সম্পর্কে-
মুরগীর জীবাণু দমনের কৌশল:
পক্সঃ অনেকগুলি রেজিস্ট্যান্ট জীবাণুনাশক আছে তবে ১-২% সোডীয়াম হাইড্রোক্সাইড ভাল কাজ করে।
বার্ড ফ্লুতে: বার্ড ফ্লুতে ফর্মালিন ,সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড(৫.২৫%) সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড ২%। সোডিয়াম কার্বোনেট প্রয়োগ করতে হবে।
করাইজা: করাইজা্র জীবাণু ৫-৬ ঘন্টার বেশি মুরগির সংস্পর্শ ছাড়া বাহিরে বাঁচতে পারে না।
মেরেক্স: সব কেমিকেল জীবানুনাশক (ফর্মাল্ডিহাইড) কাজ করে।
কলেরা: ১% ফর্মালিন,১% কস্টিক সোডা,১% ফেনল,আধুনিক সব জীবাণুনাশক কাজ করে।
আই এল টি: ফেনল,কোয়াটারী এমোনিয়াম কম্পাউন্ড, সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড ভাল কাজ করে।
টাইফয়েড: ক্রিসল এবং ফেনল ভাল কাজ করে।
ই ডি এসঃ পি এইচ ৩-১০ ,ইথার ,ক্লোরোফর্ম এ রেজিস্ট্যান্ট তবে ০.৫% ফর্মাল্ডিহাইড গ্লুটারিল্ডিহাইড কাজ করে।
মাকোপ্লাজমোসিসঃ সব জীবাণুনাশক এবং তাপে মারা যায়।বাহক ছাড়া ৬ ঘ ন্টা বাঁচে কিন্তু জৈব পদার্থে ১৮মাস বাঁচে ।
ই কলাই: সব জীবাণুনাশক কাজ করে যেমন ফেনল ,ক্রিসল এবং ব্লিচিং কাজ করে।
ফাংগাস: ফাংগাস দমনে তুতের ব্যবহার করতে হয়।
প্রোটোজোয়া: সূর্যের আলো, চুন ,ফর্মালিন প্রয়োগ করতে হবে।
রানিক্ষেত: রানিক্ষেত রোগে ফর্মালিন ৩% ফিউমিগেশন,পটাশ ১ঃ৫০০, ক্রিসল ১ঃ১০০০,ইথানল ১ঃ৫ হারে ব্যবহার করতে হবে।
ব্রংকাইটিস: পটাশ (০.০১%),ফর্মালিন ১%,এলকোহল ৭০% হারে প্রয়োগ করতে হবে।
আই বি ডি: পি এইচ ২-১২ তে রেজিস্ট্যান্ট, অনেক জীবাণূনাশক ই রেজিস্ট্যান্ট তবে
ফর্মালিন, গ্লুটারেল্ডিহাইড, ক্লোরিন,আয়োডিন ০.৫% সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ভাল কাজ করে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৭জানু২০২০