শসাতে পানির পরিমাণ বেশি। সালাদ তৈরিসহ নানা উপায়ে খাওয়া হয়ে থাকে। তবে অনেকেই শসার বীজ খান না হজমের অসুবিধার কথা ভেবে।
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে শসার বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।
এতে আছে নানান রকমের খনিজ ও আঁশ যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শসা ও এর বীজ নানা রকম স্পাতে ব্যবহার করা হয়। শসা কেটে তা চোখের উপরে দিয়ে রাখা হয়। শসার বীজে আছে বিটা ক্যারোটিন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক, চোখ ভালো রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
আর্দ্রতা রক্ষা: মানব শরীরের জন্য পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সারাদিনের খাদ্য চাহিদার ৪০ শতাংশ পানি গ্রহণ করা প্রয়োজন। খাবার তালিকায় ফল ও সবজি রাখা হলে তা শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে। শসাতে ৯৬ শতাংশ পানি এবং তা শরীরকে আর্দ্র রাখতে ও দৈনিক পানির চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে।
সহজ খাদ্যাভ্যাস: শসার বীজ কাঁচা অবস্থায় খেতে ভালো না লাগলে তা ভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। শসার বেইক করা চিপ্স, আচার, সালাদ, শসা ও পুদিনার শরবত ইত্যাদি নানা উপায়ে শসার বীজ খেতে পারেন। অনেকে স্বাস্থ্যপোকারিতার জন্য বাজার থেকে কেবল শসার বীজ কিনে খান, তবে মনে রাখবেন এইসকল বীজ কেনার ৬০ দিনের মধ্যে খেয়ে শেষ করতে হবে তা না হলে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে।
ত্বক ভালো রাখে: অধিকাংশ স্পা সেন্টারে মানুষ আরাম করতে শসার টুকরা চোখের উপরে দিয়ে রাখেন। নিজের যত্ন নেওয়ার এটা খুব ভালো উপায়। নিয়মিত ব্যবহারে শসার শীতলকারী ক্ষমতা ফোলাভাব, জলুনি ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া চোখের শসার টুকরা রাখলে তা সকালের চোখ ফোলাভাব কমায়। এছাড়াও রোদেপোড়াভাব কমাতে আক্রান্ত স্থানের উপর শসা ব্যবহার করলে উপকার পাওযা যায়।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করা: পাকস্থলী অতিরিক্ত উত্তপ্ত হওয়া মুখে দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। এক টুকরা শসা মুখের তালুতে নিয়ে রেখে দিন, এটা মুখের ব্যাক্টেরিয়া দূর করে মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
পুষ্টিগুণ: শসা ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড এবং কপার সমৃদ্ধ। এটা কোষকে শক্তিশালী ও সক্রিয় করতে সাহায্য করে।
তথ্য: বিডিনিউজ
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৩মার্চ২০