আমরা অনেকে গরু প্রতিপালন করি। আবার অনেকে গরুর খামার করা পরিকল্পনা করি। কিন্তু কোন জাতের গরু পালন করতে চান তার সঠিক ধারণা নেই। তাই আজকে আপনাদের জন্য আজ থাকছে শাহিওয়াল গরু পরিচিতি।
১. প্রাপ্তিস্থান ও বিস্তৃতি
গরুর এই জাতটির উৎপত্তি মূলত পাঞ্জাবের মধ্য ও দক্ষিণ শুষ্ক অঞ্চলে। তবে বিশেষত এটি পাকিস্তানের মন্টগোমেরি’তে (Montgomery) পাওয়া যায়। বর্তমানে এই জাতটি পাঞ্জাব, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং মধ্যপ্রদেশের সবচেয়ে বড় বড় শহরগুলিতে পাওয়া যায়। এছাড়াও এই জাতটি পাকিস্তান, ভারত ও এশিয়া মহাদেশের কিছু কিছু দেশে পাওয়া যায়।
স্থানীয় নাম : মুলতানি, মন্টোগোমারি
উৎপত্তি : পাকিস্থানের পাঞ্জাবের মন্টোগোমারি জেলায় শাহীওয়াল জাতের গরুর আদি বাসস্থান
বিস্তার : উৎপত্তি পাকিস্তানে হলেও বাংলাদেশ, ভারতসহ অনেক দেশে এ জাতটির বিস্তার রয়েছে
বৈশিষ্ট্য :
• ধীর ও শান্ত প্রকৃতির, মোটাসোটা ভারী দেহ , ত্বক পাতলা ও শিথিল
• পা ছোট, শিং ছোট ও পুর, এজাতের গাভীর শিং নড়ে, মাথা চওড়া
• ষাঁড়ের চূড়া অত্যধিক বড়
• গলকম্বল বৃহদাকার যা ঝুলে থাকে, লেজ বেশ লম্বা, প্রায় মাটি ছুঁয়ে যায়, লেজের আগায় দর্শণীয় একগোছা কালো লোম থাকে
• গাভীর ওলান বড়, চওড়া, নরম ও মেদহীন, বাটগুলো লম্বা, মোটা ও সমান আকৃতি বিশিষ্ট
• ষাঁড়ের দৈহিক ওজন ৫০০ -৫২০ কেজি এবং গাভীর ২৫০ – ৪০০ কেজি পর্যন্ত হয়
প্রয়োজনীয়তা ও উৎপাদন :
শাহীওয়াল গাভী দুধ উৎপাদনের জন্য একটি উৎকৃষ্ট জাত। এ জাতের গাভী গ্রামীণ অবস্থায় পালনে ৩০০ দিনে প্রায় ২১৫০ লিটার দুধ দেয়। খামারে পালনকারী গাভী প্রায় ৪-৫ হাজার লিটার দুধ দিয়ে থাকে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন