জৈবিক পদ্ধতিতে উদ্ভিদের রোগ দমন

611

ট্রাইকোডার্মা কি?
ট্রাইকোডার্মা হচ্ছে মাটিতে মুক্তভাবে বসবাসকারি উপকারি ছত্রাক- যা উদ্ভিদের শিকড়স্থ মাটি, পঁচা আবর্জনা ও কম্পোস্ট ইত্যাদিতে অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি মাটিতে বসবাসকারি উদ্ভিদের ক্ষতিকর জীবাণু যেমন- ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও নেমাটোডকে মেরে ফেলে। ট্রাইকোডার্মা প্রকৃতি থেকে আহরিত এমনই একটি অণুজীব যা জৈবিক পদ্ধতিতে উদ্ভিদের রোগ দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ট্রাইকোডার্মা বায়োপেস্টিসাইডটি প্রথম আবিষ্কার করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.মো.বাহাদুর মিয়া যা ২০১৩ সালের জুন মাসে বগুড়া আরডিএ ল্যাবরেটরীতে গবেষণার মাধ্যমে কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয়।

ট্রাইকোডার্মা কম্পোস্ট সার কি কি উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়?
ট্রাইকোডার্মা ছত্রাকের মান অক্ষুণ্ণ রেখে ট্রাইকোডার্মা সহ মোট ১৩ টি উপাদান দিয়ে ট্রাইকোডার্মা কম্পোস্ট তৈরি করা হয় যা কৃষি ও কৃষকের

জন্য খুবই উপকারী –
১.ট্রাইকোডার্মা
২.গোবর ৭০-৭৫%
৩.চা-পাতা
৪.ছাই
৫.কাঠেরগুড়া
৬.কচুরীপানা
৭.খৈল
৮.ভুট্টার গুড়া
৯.নালি
১০.কোকোপিট
১১.কলা গাছের বাকল
১৩.নীমপাতা এবং
১৪.পচনশীল তরকারীর অবশিষ্ট অংশ

দিয়ে শতভাগ মান সম্মতভাবে তৈরী করা হয়েছে, ট্রাইকোডার্মা কম্পোস্ট!
উপরোক্ত উপদান গুলোর দিকে খেয়াল করলে আমরা বুঝতে পারি ইহা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি উপকারী জৈব সার!
ফল গাছ কিংবা সবজী গাছ যেকোন গাছের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, সঠিক জৈব পুষ্টি নিয়ে বেড়ে উঠা থেকে শুরু করে, পর্যাপ্ত ফলন বৃদ্ধিতে ট্রাইকোডার্মা কম্পোস্ট সারের বিকল্প আপাতত নেই!

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৬অক্টোবর২০