জয়পুরহাটে আগাম জাতের সবজি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় জেলায় বর্তমানে আগাম জাতের বিভিন্ন সবজির চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ২০১৮-১৯ মৌসুমে আগাম জাতের বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। আগাম জাতের সবজি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ার কারণে কৃষকরা এ সবজি চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার আগাম জাতের সবজি চাষের মধ্যে রয়েছে বেগুন ৫শ হেক্টর, করলা ২শ হেক্টর, মূলা ৪৫০ হেক্টর, লাল শাক ২শ হেক্টর, লাউ ২শ হেক্টর, শিম ১৫০ হেক্টর, পটল ৪শ হেক্টর, শশা ৩শ, বাধাঁ কপি ১শ ও ফুল কপি ১২৫ হেক্টর, পেঁয়াজ ১১০ হেক্টরসহ শাক সবজি রয়েছে ৩ হাজার ২শ হেক্টর। এ ছাড়া আগাম জাতের আলু রয়েছে ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে।
সদর উপজেলার ভানাই কুশলিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ বলেন গত বছর ৩০ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের আলু ও বেগুন চাষ করে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। সে কারণে এবারও আলু ও বেগুন চাষ করেছেন অধিক লাভের আশায়। একই এলাকার জহুরুল ইসলাম এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন বলে জানান।
পারুলিয়া গ্রামের এরশাদ, ইউনুস আলী, এন্তাজুল জানান, গত বছর কপিতে অধিক লাভ হওয়ায় এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের কপি চাষ করেছেন। বর্তমানে জয়পুরহাটের হাট-বাজার গুলোতে বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, মূলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শ. ম মেফতাহুল বারী জানান, আগাম জাতের সবজি চাষ করে কৃষকরা অধিকহারে লাভবান হওয়ায় জেলায় আগাম জাতের সবজি চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারে প্রথম পর্যায়ে সবজি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কৃষকদের মাঝে প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র: বাসস
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ