জয়পুরহাট: কৃষক পর্যায়ে ব্যবহৃত সার ও বালাইনাশকের মান যাচাই করার জন্য বিশেষ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজার থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক সার ও বালাইনাশকের নমুনা সংগ্রহ অভিযান চালায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ জানায়, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকরা জমিতে রাসায়নিক সারসহ বিভিন্ন বালাইনাশক ব্যবহার করে থাকেন। কৃষকরা সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মান যাচাই করতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারের বালাইনাশক দোকান থেকে সার ও কীটনাশকের নমুনা সংগ্রহ করেন ল্যারেটরিতে পরীক্ষার জন্য।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ফসল উৎপাদন বিভিন্ন রোগ, পোকামাকড়ের আক্রমণ হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রে সঠিক বালাইনাশক, সঠিক সময়ে, সঠিক মাত্রায় ও সঠিক নিয়মে ব্যবহারের জন্য কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হয়।
এ ছাড়াও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার প্রয়োজন। ফসলের ফুল, ফল ফেটে যাওয়া, ঝড়ে পড়া রোধে ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি সার ব্যবহার ছাড়াও অণুসার হিসেবে জিপসাম, দস্তা, বোরণ, ম্যাগনেসিয়াম সার ব্যবহারের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন কৃষি কর্মকর্তরা।
কোন কৃষক যাতে নিম্নমানের রাসায়নিক সার অথবা বালাইনাশক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে জন্য নিয়মিত বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় হাট-বাজারের দোকান থেকে সার ও বালাইনাশকের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে নিম্নমানের প্রমাণ পাওয়া গেলে বাজারজাত বন্ধ করে দেয়াসহ মোবাইল কোটের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুধেন্দ্র নাথ রায় বলেন, জেলায় বালাইনাশক ও বিভিন্ন সারের মান নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা হাট-বাজার ঘুরে ঘুরে বালাইনাশকের দোকানগুলোতে নিয়মিত মান যাচাই কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন বলেও জানান তিনি।
নিয়মিত মান যাচাই কার্যক্রমের ফলে অনেক মানহীন দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। সদর উপজেলায় ৩৩০টি বালাইনাশকের দোকান থেকে বর্তমানে ২৫৬টি রয়েছে। এতে সার ও বিভিন্ন বালাইনাশকের মান বজায় রাখা সম্ভব বলে জানান তিনি।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন