জয়পুরহাটে বন্যায় সবজির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় আমদানিও কম

318

2015-11-08_2_613980

বন্যায় জেলায় সবজির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বাজারে আমদানি কমে গেছে। ফলে সবজির দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, জেলায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সবজি ফসলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয় ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৯ শ ৪৯ মেট্রিক টন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হতো। কিন্তু ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ২ হাজার হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হয়েছে। এতে বাজারে সবজির আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৬ শতাংশ জমির পেঁপেঁ বন্যার পানিতে এবারেই নষ্ট হয়েছে বলে জানান, দাদরা এলাকার কৃষক শামীম হোসেন। পাইকারি ক্রেতা নাজমুল হক, শফিকুল ইসলাম জানান, সবজির আমদানি অর্ধেকের চেয়েও কম। প্রতি হাটে জয়পুরহাট থেকে ঢাকার বাজারে ৪/৫ হাজার বস্তা সবজি পাঠানো হয় বলে জানান, লুৎফর রহমান। সেখানে বর্তমানে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার বস্তা সবজি কিনতে পারছেন না।

শনিবার জয়পুরহাটের বড় সবজি বাজার নতুনহাট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতা সূত্রে জানা যায়, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়াও টমেটো ৬০ টাকা, প্রতি পিস চাল কুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩৫ টাকা, ডাটা ৩০ টাকা, গোল আলু ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি, লতিরাজ কচু ৩৫ টাকা, মূখি কচু ২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পেঁপেঁ ১৫ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৫৫ টাকা , ইন্ডিয়ান ৪৫ টাকা কেজি, কাঁচা কলা এক হালি ২০ টাকা, ডিম এক হালি ৩৪ টাকা, আদা ৮৫ টাকা, রসুন ১শ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১শ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে। জেলায় ৫ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সবজির চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে এবং ৪২ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে এবার আলুর চাষ হয়। ফলে জেলায় উৎপাদিত অতিরিক্ত সবজি বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

কৃষি বিভাগ জানায়, গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বর্তমানে জমিতে থাকা প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির সবজি ফসল নষ্ট হয়েছে।

এ ক্ষতি পূরণের জন্য জেলার পাঁচ উপজেলাতেই এক লক্ষ টাকার বিভিন্ন সবজির বীজ বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায়।

ফার্মসঅ্যা্ন্ডফার্মার২৪ডটকম/এম