জয়পুরহাট জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা শৈতপ্রবাহের কারণে প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা ও গভীর নলকূপের গরম পানি সেচ কাজে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে স্থানিয় কৃষি বিভাগ। জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো চাষ সফল করতে ৩ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বোরো বীজ গুলোর মধ্যে রয়েছে বিআর- ১৬, ২৮, বিআর-২৯ ও ব্রি-ধান ৫০, ৫৮ ও ৫৯। কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বোরো বীজ সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্রসহ জেলার ১ শ ১৪ জন বীজ ডিলারের মাধ্যম ওই বীজ বিক্রি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । চলতি মৌসুমে বোরো চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ. ম মেফতাহুল বারী। খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০১৯-২০২০ রবি ফসল চাষ মৌসুমে বোরো চাষ সফল করতে কৃষকরা বোরো বীজতলা তৈরি করবেন কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এবার ৭২ হাজার ২ শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৬২ হাজার ৮ শ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে ৯ হাজার ৪ শ হেক্টর জমি। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯ শ ৯ মে.টন।
জেলায় বোরো ধান ও আলু চাষ সফল করতে সারের মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। মজুদ সারের মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া ২ হাজার ৩২৭ মে. টন, টিএসপি ১ হাজার ৫৪৪ মে. টন, এমওপি ১ হাজার ৫৯৪ মে. টন এবং ডিএপি রয়েছে ১ হাজার ৪৪২ মে. টন। নভেম্বর মাসে বরাদ্দ দেওয়া সারের মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া ৬ হাজার ৩৭৮ মে. টন, টিএসপি ২ হাজার ৯২২শ মে. টন, এমওপি ৪ হাজার ৫শ ৬৭ মে. টন ও ডিএপি ৩ হাজার ৭০৩ মে. টন । স্থানীয় ব্যাংক বিশেষ করে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বোরোসহ অন্যান্য শীতকালীন ফসল চাষের কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণের ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে।