জয়পুরহাট: অন্যান্য বছরের মতো এবারও জয়পুরহাট জেলায় মাংস, দুধ ও ডিমের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়েছে বলে জানা গেছে। উদ্বৃত্ত মাংস, দুধ ও ডিম সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ লাখ লোকের বসবাস ছোট জেলা হিসাবে পরিচিত উত্তরাঞ্চলের জয়পুরহাটে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জেলায় ৪২ লাখ মেট্রিক টন মাংসের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ১ লাখ ৪৭ হাজার মেট্রিক টন। ৮৭ লাখ মেট্রিক টন দুধের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ মেট্রিক টন দুধ এবং ৯ কোটি ৮ লাখ ডিমের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদনের পরিমাণ হচ্ছে ৩৮ কোটি ৭৯ লাখ ডিম।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, জেলায় প্রায় ৯ হাজার ছোট বড় খামারী রয়েছে। এখানে গবাদি পশুর সংখ্যাও এক লাখের অধিক। খামারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সংস্থা সরাসরি দুধ কিনে থাকে। জামালগঞ্জ সরকারি হাঁস মুরগি খামারকে কেন্দ্র করে জেলায় ব্যাপক হারে মুরগি খামার গড়ে ওঠে। জেলার পাঁচ উপজেলায় আড়াই হাজার রেজিস্টার খামারসহ জেলায় প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় পোল্ট্রি খামার রয়েছে বর্তমানে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে ৪-৫ তলা মুরগির সেড। ছোট-বড় হিসাবে একেকটি খামারে ২ হাজার থেকে শুরু করে ৮০ হাজার পর্যন্ত মুরগি পালন করা হয়ে থাকে।
জেলায় বর্তমানে সোনালি জাতের মুরগি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। একটি খামারে বছরে চার ব্যাচ করে এই মুরগি পালন করা হয়। এ ছাড়াও বয়লার ৬/৭ ব্যাচ এবং হাইব্রিড লেয়ার (ডিমের জন্য) সারা বছর পালন করা হয়ে থাকে। একটি হাইব্রিড লেয়ার মুরগি বছরে ৩০০টির বেশি ডিম দেয়। ডিম দেয়া শেষ হলে মাংস হিসেবে বিক্রি করা হয় বাজারে।
জেলার প্রায় ১০ লাখ লোকের মাংসের চাহিদার বেশির ভাগ আসে পোল্ট্রি থেকে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ গাড়ি মুরগি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয় বলে জানান জেলা ভারপ্র্র্রাপ্ত প্রাণিম্পাদ কর্মকর্তা ডা. মামুনূর রশদি। বিএসএস
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন