মো. আমিনুল ইসলাম, ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিন চেচঁরী জমাদ্দার হাট, দক্ষিন চেঁচরী মাঝি বাড়ী, জয়খালী, মধ্য কৈখালী, দক্ষিণ কৈখালী, লতাবুনিয়া, সৈয়দপুর কচুয়া, বিনাপানি, বলতলা, কচুয়া ও শৌলজালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অপ্রত্যাশিত কচুরিপানা ও টেপপানা জাতীয় জলজ আগাছা বিস্তার করায় কয়েকশ একর জমিতে আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ কচুরিপানা অনেক দিন স্থায়ী হওয়ায় পচে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আমন বীজতলা। পূর্ণিমা- আমাবশ্যার জোয়ারে নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভারি বৃষ্টিপাতসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে এমনিতেই কৃষকরা চাষে পিছিয়ে রয়েছেন।
মাঠভর্তি কচুরি ও টেপপানা জাতীয় আগাছা এখন কৃষকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত ভাটিতে কৃষকরা দলবদ্ধ হয়ে কচুরিপানা নিষ্কাসনের চেষ্টা করেও মুক্তি নেই। জোয়ারে কোন কোন খাল ভেসে এসে পুনরায় কচুরিপানা ওঠে তলিয়ে যাচ্ছে জমি ও আমন বীজতলা। বীজ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে বীজ সংকট।
দক্ষিন চেচঁরী এলাকার কৃষক জাকির হোসেন হাওলাদার ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকমকে জানান, জমিতে কোন বছর কচুরি পনা হয়নি। অনেক চেষ্টা করে খালে নামিয়ে দেয়ার পর আবার ওঠে। অনেক জমি খিল পড়ে আছে। এছাড়া এতে বীজ নষ্ট হয়ে গেছে।
জমাদ্দার হাট এলাকার বরগা চাষী জালাল ফকির জানায়, যেভাবে মাঠে টেপপনা হয়েছে মনে হয় এটা আল্লাহর গজব পড়েছে। দুই বিঘা জমি পরিষ্কার করে বীজ কিনে চারা লাগিয়েছি। এখনও বহু জমি খালি আছে।
কৃষক জলিল খান বলেন, অনেক জমি খিল পড়ে আছে। এছাড়া এতে বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক মহাজনের জমি ছেড়ে দিয়েছি কচুরিপনার কারণে।
জানা গেছে, জুলাই মাসের মাঝামাঝি কয়েক দিনের অবিরাম ভারি বর্ষণ ও নিম্নচাপের প্রভাবে পানি বৃদ্ধিতে রাস্তা-ঘাট, খাল-বিল ও জলাসয় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নদী থেকে কচুরি ও টেপপনা জাতীয় আগাছা ওঠে মাঠ ভরে যায়। পানি কমে যাওয়ায় এরা বিস্তার লাভ করে একরের পর একর ফসলি জমি ছেঁয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ এ বিষয়ে কৃষকদের কোন পরামর্শ বা সহযোগিতা না করায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী কৃষকরা।
কাঁঠালিয়া উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম হাওলাদার ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকমকে জানান, কচুরিপানা বা আগাছা নিষ্কাশনের ব্যাপারে কৃষি অফিসের মাধ্যমে কিছইু করার নেই। তবে ওষুধ দিয়ে পঁচানো যায়, তাতে বীজতলা ও রোপা আমনের ক্ষতি হবে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন