জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকে: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কৃষকরা এবার ওল চাষের দিকে ঝুঁকছে। ইতিহাস খুঁজলে দেখা গেছে হরিণাকুন্ডুর কৃষকদের প্রধান অর্থকারী ফসল পান। তবে হরিণাকুন্ডুর কৃষকরা এখন সব রকম ফসল আবাদ করার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১০০ হেক্টর জমিতে উন্নতমানের ওল চাষ হয়েছে। হরিণাকুন্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এরশাদ আলী চৌধুরী জানান, এই অঞ্চলের মাটি উর্বর বলে ওল চাষ ভালো হয় কিন্তু বাণিজ্যিক আকারে কৃষকরা ওল চাষ করতো না। আমাদের কৃষিবিভাগ বর্তমান উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যেমে কৃষকদের হাতেকলমে ওল চাষ করতে পরামর্শ দিচ্ছে।
উপজেলার ভাইনা এলাকার ওলচাষি জামাল হোসেন জানান, আমরা ওল চাষ বুঝতাম না, কীভাবে আবাদ করতে হয়, নিয়ম কানুন জানা ছিল না। বর্তমানে কৃষি কর্মকর্তা আরশেদ আলি চৌধুরীর স্যারের পরামর্শে ওলের আবাদ করেছি। গত বার ১৮ কাঠা চাষ করে বেশ লাভ হয়ে ছিল তাই এবার ৪০ কাঠ আবাদ করেছি। আশা করি এবার গত বছরের চেয়ে বেশি লাভ হবে।
এদিকে কৃষিবিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিব জানান, ভালো পরিচর্যা হলে ১টা ওল সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজন হয়। আর বাজারে এর দাম ও থাকে ভালো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ওল বিক্রয় হয়।
আবার পোলতাডাঙ্গার ওলচাষি সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি এবার ৪০ শতক জমি ওল আবাদ করেছে। ওলের গাছ সুন্দর হয়েছে এক একটা গাছে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওল হবে, তবে বাম্পার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একই এলাকার কৃষক আনোয়ার জানান, তিনি ৪৮ শতক জমিতে ওল চাষ করেছে কারণ হিসেবে বলেন, কম খরচে অধিক লাভ হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করা যাই।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরশেদ আলী চৌধুরী বলেন, ওল কচু বিঘাপ্রতি ৮শ গাছ লাগানো যায়। এতে ১০০ মন ওল উৎপাদন হয়। ৫ কেজি থেকে শুরু করে ১০-১৫ কেজি ওজন হয় পরিচর্চা ভালো হলে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন