ঝিনাইদহে খাদ্য অধিকার আইনের দাবিতে র‌্যালী ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

361

ঝিনাইদহে খাদ্য অধিকার আইনের দাবিতে র‌্যালী ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

খাদ্য অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে কৃষক সংগঠন সহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর)) ঝিনাইদহ পোস্ট অফিস মোড়ে খানি-খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত খাদ্য অধিকার প্রচারাভিযান সপ্তাহ উপলক্ষে স্বাধীন কৃষক সংগঠন ও উন্নয়ন ধারার আয়োজনে র‌্যালি ও মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়।

এসময় বক্তরা বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দেশ আজ অনেকখানি এগিয়ে তবে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচক ২০১৭ অনুযায়ী বিশ্বের ১০৯ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। এছাড়া বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে ১১৮ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯০তম যা এসডিজি এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধান অন্তরায়।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, খাদ্য প্রত্যেক মানুষের প্রাথমিক ও প্রধানতম অধিকার। খাদ্য অধিকার পূরণ না হলে মানুষের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়ে। সুতরাং মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পূর্বশর্তই হচ্ছে তাঁর খাদ্যের অধিকার পূরণ করা। এজন্য দেশে আইনী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে সকল মানুষের খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নীতি, বাস্তবায়ন কৌশল এবং সমন্বিত কৃষি, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির দিক নির্দেশনা থাকবে।

এ সময় বক্তারা বলেন যে, সম্প্রতি বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রবর্তন এর নিমিত্তে সুপরিশ এবং আইনের খসড়া  ‘বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’ প্রণয়ন ও প্রকাশ করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খাদ্য অধিকার বিষয়ক আইন থাকলেও বাংলাদেশে এখনো তেমন কোন আইন নেই।

এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিলে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গিকারাবদ্ধ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশীয় খাদ্য অধিকার সম্মেলনে খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

উক্ত র‌্যালী ও মানবন্ধনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক খাদ্যের অধিকারকে নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান এবং খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের উপকরণসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, কৃষি পণ্যের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করা, এসডিজি-এর ১ নং লক্ষ্য ‘সব ধরণের দারিদ্রের অবসান ও ২ নং লক্ষ্য ‘ক্ষুধামুক্তি’ অর্জনে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ, ওষুধভিত্তিক পুষ্টির পরিবর্তে খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টির উপর অধিক জোর দেওয়া, জনগণের কাজের অধিকার ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা, স্থানীয় বীজ ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা, দুর্গম এলাকায় খাদ্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবিসহ মোট বারো দফা দাবি তুলে ধরা হয়।