বাংলাদেশের বিভিন্ন ফলের মধ্যে আনারস একটি ফল। এতে রয়েছে আকর্ষণীয় সুগন্ধ আর অম্ল-মধুর স্বাদ। আমাদের দেশে এ ফলটি খুবই সহজলভ্য হওয়ায় সবার কাছে সমাদৃত। স্বাভাবিক অবস্থায় আনারসের বীজ হয় না। বিভিন্ন ধরনের চারা/সাকারের মাধ্যমে আনারসের বংশবিস্তার হয়ে থাকে। সাধারণত সাইড সাকার বা পার্শ্ব চারা, ফলের উপরের অংশের চারা কিংবা গ্রাউন্ড সাকার দিয়ে আনারসের বংশবিস্তার হয়ে থাকে। বাংলাদেশের অনেক স্থানেই আনারস চাষ করা হয়। তবে মূলত সিলেট, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও টাঙ্গাইল জেলায় ব্যাপক আকারে আনারস চাষ হয়। বর্তমানে ছাদ বাগানে ছোট টবেও এর চাষাবাদ হচ্ছে। আনারসের চাষ পদ্ধতিও খুব সহজ। তেমন কোন যত্ন-আত্বি ছাড়াই আনারস চাষ করা যায়।
চাষ পদ্ধতিঃ
ছাদ বা ব্যালকনিতে আনারস এর চারা রোপনের প্রতিটি চারার জন্য একটি করে ১০ ইঞ্চি টব সংগ্রহ করতে হবে । মাটির টব হলে ভাল হয় । টবের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে । এবার ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ১০-১৫ গ্রাম টি,এস,পি সার, ১০ গ্রাম পটাশ সার, একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টব ভরে পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে ১০-১২ দিন । অতঃপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে । যখন মাটি ঝুরঝুরে হবে তখন আনারসের চারা উক্ত টবে রোপন করতে হবে । চারা গাছটিকে সোজা করে লাগাতে হবে । সেই সাথে গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উচু করে দিতে হবে এবং মাটি হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে । যাতে গাছের গোড়া দিয়ে বেশী পানি না ঢুকতে পারে । একটি সোজা কাঠি দিয়ে গাছটিকে বেধে দিতে হবে ।
অন্যান্য পরিচর্যাঃ
চারা লাগানোর ২-৩ মাস পর থেকে নিয়মিত ২৫-৩০ দিন অন্তর অন্তর সরিষার খৈল পচা পানি অল্প পরিমানে প্রয়োগ করতে হবে । সরিষার খৈল ১০ দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে । তারপর সেই পচা খৈলের পানি পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিতে হবে । ১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর টবের মাটি কিছুটা খুচিয়ে আলগা করে দেয়া প্রয়োজন।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৪সেপ্টেম্বর২০