টবে লাল শাকের চাষ পদ্ধতি

1610

lalshak_in_2
স্থান নির্ধারণ:-
বাসার বারান্দায় বা ছাদে এমন একটি স্থান বেছে নিন যেখানে প্রচুর আলো বাতাস পায়। তবে ছায়াতেও লাল শাক ভালই হয়, তবে উচ্চতা একটু কম হবে।

টব:-
লাল শাক চাষের জন্য টব বা প্লাস্টিক অথবা কাঠের কনটেইনারও ব্যবহার করা যায়। মাঝারি সাইজের একটি টব বেছে নিন। প্লাস্টিকের বালতিতেও করতে পারেন।

মাঝারি আকৃতির টবে ২০০টি গাছের চাষ করা সম্ভব।

মাটি প্রস্তুত:-
প্রায় সব ধরনের মাটিতেই সারাবছর লাল শাকের চাষ করা হয়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি লাল শাক চাষের জন্য উত্তম। মাটিতে প্রচুর জৈব সার থাকতে হয়। এক ভাগ মাটি ও এক ভাগ জৈব সার নিয়ে ভালোভাবে ঝুরা করে মিশিয়ে নিন। মাটি খুব শুকনো হলে একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে মেশান।

বীজ রোপণ:-

সারা বছরই লালশাক চাষ করা যায়। তবে শীতের শুরুতে লাল শাকের ফলন বেশি হয়।

যত্ন:-

বিশেষ করে প্লাস্টিকে কন্টেইনার ব্যবহার করলে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়া জন্য আগেই কন্টেইনারটিতে কয়েকটি ছোট ছিদ্র করে নিতে পারেন।

বীজ গজানোর এক সপ্তাহের পর প্রত্যেক সারিতে ৫ সে.মি. পর পর গাছ রেখে বাকি গাছগুলো তুলে ফেলতে হবে। নিড়ানি দিয়ে জমি আগাছামুক্ত করতে হবে। জমির উপরের মাটিতে চটা হলে নিড়ানি দেওয়ার সময় তা ভেঙ্গে দিতে হবে। মাটির অবস্থা বুঝে সেচ দিতে হবে।

ফসল তোলা:-

বীজ বপনের এক মাস পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। যেসব গাছ অন্য গাছের তুলনায় একটু বড় সেগুলো প্রথমে তুলতে হবে। দুই তিন দিন পর পর এভাবে ফসল সংগ্রহ করা যেতে পারে।

সবশেষে:-

এটা টবে চাষের পদ্ধতি, তাই পোকা-মাকড় সংক্রমণ, বা চিকিৎসা ইত্যাদি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যেহেতু আপনি আপনার বাসার ছাদে বা বারান্দায় করবেন, তাই তা অবাণিজ্যিক। আর সেই জন্য কোন সমস্যা হলে তার চিকিৎসা করতে হলে উল্টো আরো ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি বড় ধরনের ঝামেলা হয়, নতুন ভাবে চাষ করাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/৮ফেব্রু২০২০