টবে শীতের শাক-সবজি চাষ

1070

শহর জীবনেও শীতের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন। তার জন্য একটু কাজ তো করতেই হবে। সেজন্য কম পরিশ্রমে বাড়ির ছাদ, বারান্দা, কার্ণিশে বিভিন্ন আকারের টবে শাক-সবজির চাষ করতে পারেন। তাহলে জেনে নিন টবে সবজি চাষের নিয়ম-কানুন ঃ- যা চাষ করবেন :- টমেটো, বেগুন, মরিচ, শসা, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, মটরশুটি, কলমি শুটি, কলমি শাক, লাউ, পুঁই শাক, পেঁপে, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, থানকুনি, লেটুস, ব্রোকলি প্রভৃতি। টবের মাটি:- মাটি হতে হবে ঝরঝরে, হালকা এবং পানি ধরে রাখার ক্ষমতাসম্পন্ন।

মাটি চালনি দিয়ে চেলে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। দুই ভাগ বেলে দো-আঁশ মাটির সঙ্গে দুই ভাগ জৈব সার মিলিয়ে বীজতলার মাটি তৈরি করতে হয়। মাটি এঁটেল হলে একভাগ বালি মিশিয়ে হালকা করে নিতে হয়। মাটিকে জীবাণুমুক্ত করে চারাকে রোগবালাই থেকে রক্ষা করতে হয়। সাধারণত ১ লিটার ফরমালডিহাইড শতকরা ৪০ ভাগ ৪০ লিটার পানিতে মিশিয়ে এই দ্রবণের ২৫ লিটার প্রতি ঘন মিটার মাটিতে কয়েক কিস্তিতে ভিজিয়ে দিতে হয়। এরপর দু’দিন চটের কাপড় দিয়ে মাটি ঢেকে রেখে পরে চট উঠিয়ে দিলে মাটি জীবাণুমুক্ত হয়।

মাটি হালকা ঝরঝরে করে টবের উপরের ভাগ সমতল করতে হবে। হালকাভাবে বীজ ছিটিয়ে দিতে হবে। এরপর জৈব সার দিয়ে বীজগুলোকে ঢেকে দিতে হবে।

আকারে ছোট বীজগুলোর উপর দিয়ে পানি দিলে পানির ধাক্কায় একস্থানে অঙ্কুরোদগমে ব্যঘাত ঘটতে পারে। তাই সব টবের উপর দিয়ে পানি না দিয়ে তলা দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করা উচিত।

হেপ্টোক্লোর ৪০ পরিমাণ মত দিয়ে পিঁপড়া ও মাকড়সার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়। পাখির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে হলে টবের উপর তারের বা নাইলনের জাল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। টবের মাটিতে বীজ বপনের আগে বিভিন্ন প্রকার আগাছা জন্মাতে পারে। তাই নিড়ানি দিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেলতে হবে। চারার গোড়ায় যেন আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। টবগুলো অবশ্যই আলো-বাতাসযুক্ত জায়গায় রাখতে হবে।

সবজি বেশিদিন গাছে না রেখে নরম থাকতেই তুলে খাওয়া ভালো। সবজি গাছ থেকে ছিঁড়ে সংগ্রহ করা যাবে না। আস্তে করে কেটে সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে সবজি গাছের কোন ক্ষতি হবে না।