টাঙ্গাইলে ইটভাটা দখল করে নিচ্ছে কৃষি জমি

522

ভাটা

বাসাইল উপজেলার কলিয়া গ্রামে আইন লংঘন করে কৃষি জমিতে তৈরি হচ্ছে দেলোয়ার হোসেন অ্যান্ড কোং নামের একটি ইটভাটা। জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতর ও কৃষি বিভাগসহ কোনো বিভাগেরই লাইসেন্স ও প্রত্যয়ন না নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে এ ইটভাটা তৈরির কাজ।

পরিবেশ অধিদফতর ইতোমধ্যে ইটভাটা স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও প্রভাব খাটিয়ে ভাটা মালিক এর নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

দেখা যায়, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন (২০১৩) অনুযায়ী আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার এবং গ্রামীণ বা ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তা থেকে অন্তত অর্ধ-কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।

বাসাইলের কলিয়া গ্রামে সব ধরনের নিয়ম ভঙ্গ করে স্থাপন করা হচ্ছে ইটভাটা। ভাটার দুই পাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আছে দুটি বাজার, বসতবাড়ি ও তিন ফসলি জমি। ৫০ গজের মধ্যেই রয়েছে গ্রামীণ সড়ক। সেই রাস্তা দিয়ে তিন টনের অধিক মালামাল বহনকারী যানবাহন চলাচল করছে। যা ইটভাটা আইন নীতিমালার পরিপন্থি।

হোমিও চিকিৎসক আলতাফ হোসেন বলেন, এখানে ইটভাটার সরবরাহ শুরু হলে স্থানীয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রাত হবে। গাছে কোনো ধরনের ফল আসবে না। বাড়িঘরেও মানুষ বসবাস করতে পারবে না। অবিলম্বে ভাটার নির্মাণকাজ বন্ধ করতে হবে।

ইটভাটার মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভাটা নির্মাণের অনুমতির জন্য সবগুলো অধিদফতরে আবেদন করা হয়েছে। এখনও অনুমতি পাইনি। তবে দ্রুত অনুমতি পাওয়া যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, এখানে কীভাবে ইটভাটা করছে বুঝতে পারছি না। এটি ফসলি জমি। আমাদের কাছে প্রত্যয়ন চাওয়া হয়েছিল। তবে আমরা ফসলি জমিরই প্রত্যয়ন দিয়েছি।

পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, কলিয়ার ইটভাটা নির্মাণে আমাদের কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। তবে কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। আমরা ভাটার মালিককে নোটিশ করেছি কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য। এরপরও কার্যক্রম চালিয়ে গেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামছুন নাহান স্বপ্না বলেন, ইটভাটা নির্মাণের জন্য অবশ্যই তাদের লাইসেন্স নিতে হবে। আমি সরেজমিনে সেখানে যাব। যদি লাইসেন্স না নিয়ে থাকে তাহলে ইটভাটার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ