টাঙ্গাইলে পতিত জমিতে আদা-হলুদ চাষ করে লাভবান কৃষক

100

মসলা জাতীয় ফসল আদা ও হলুদের কদর রয়েছে পুরো দেশ জুড়ে। মানুষের রসনা বিলাসে দিনদিন বাড়ছে মসলার জনপ্রিয়তা। সময় যতই অতিবাহিত হচ্ছে ততই বড় হচ্ছে মসলার বাজার। বাড়ছে ফসল দুটির ব্যবসার পরিধিও। এরই ধারাবাহিকতায় ফসল দুটির চাহিদার ঘাটতি পুরনের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলায়ও  মসলা চাষের জমি সম্প্রসারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বিভিন্ন প্রকল্পে কৃষকদের বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে নানা উপকরণ। কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করায় এখানে চলতি মৌসুমে আদা ও হলুদের ফলনও হয়েছে ভালো। এতে খুশী কৃষকরা।রান্নার অন্যতম অনুসঙ্গ হচ্ছে হলুদ এবং আদা। বিয়ে বাড়ি, সাজগোজ কিংবা রান্না সব ক্ষেত্রেই আদা-হলুদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। খরচের তুলনায় লাভ দ্বিগুন এবং চাষ করা যায় অন্য ফসলের সঙ্গে। আদা-হলুদের ক্ষেতে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ তেমন একটা হয় না বললেই চলে। এ কারণে টাঙ্গাইল জেলার পাহাড়ী ও সমতল অঞ্চলের কৃষকের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আদা-হলুদ চাষ।টাঙ্গাইল জেলার মাটি ও আবহাওয়া মসলা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এবং দাম ভাল পাওয়ায় আদা ও হলুদ চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা। তারা জানান, আদা-হলুদ চাষ অধিক লাভজনক। পরিশ্রম কম, রোগ-বালাইও নেই।  যে কারণে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ফসলটির চাষ বাড়ছে। পতিত জমিতে আদা-হলুদ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা এখন ব্যস্ত জমির আদা-হলুদ চাষের পরিচর্যা নিয়ে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, জেলাটি আগে থেকেই আদা-হলুদের জন্য সুপরিচিত। এছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় আদা-হলুদের কন্দ, সার এবং জমি তৈরী ও পরির্চযার জন্য নগদ টাকা প্রনোদনা দিয়েছে কৃষকদের। অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমেও আদা-হলুদের জাত সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। পাহাড়ী ও পতিত জমিতে চাষ বাড়ানো গেলে টাঙ্গাইলে মসলা জাতীয় ফসল চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক দুলাল উদ্দিন জানান, এ বছর জেলায় আদা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে এক হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে। হলুদ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তিন হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে তিন হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। ফসল পরির্চযায় সার্বক্ষনিক কৃষকদের পাশে রয়েছেন কৃষি কর্মকর্তরা।