টাঙ্গাইলে ফিরে এসেছে হাউসের আউশ ধান

414

Tangail-News-Pic--(4)

রনজিৎ সরকার, টাঙ্গাইল থেকে: আউশ ধানের পিঠা, পায়েস, চিড়া, মুড়ি আর খৈয়ের স্বাদ আজও অনেকের জিভে লেগে আছে। হাসিকলমি, কটকতারা, ধারিয়াল, পঙ্খিরাজসহ স্থানীয় নানা জাতের আউশ ধান মাড়াইয়ের পর গ্রামের মা-বোনেরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন উপাদেয় সব খাবার তৈরিতে। সেই হারানো আউশ ধানের সুদিন আবার ফিরে আসছে টাঙ্গাইলে।

কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আবারও জেলার কৃষকরা আউশ আবাদে ঝুঁকছেন। চাষ করে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন।

১৯৭০ দশকের আগে দেশে আউশ ধানই ছিল প্রধান ফসল। আমন ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু পরবর্তীতে দেশে সেচনির্ভর বোরো আবাদের প্রচলন শুরু হয়। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য বাড়তি খাদ্যের জোগান দিতে গিয়ে অধিক উৎপাদনশীল বোরো চাষে কৃষক ঝুঁকে পড়েন। বিপরীত দিকে পরিবেশবান্ধব বৃষ্টিনির্ভর আউশ চাষ একেবারেই কমে যায়।

সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর নির্দেশনায় ও টাঙ্গাইল কৃষি বিভাগের উদ্যোগে জেলায় আউশ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়। চলতি মৌসুমে সদর উপজেলার ৩৫০ জন কৃষককে ১৫০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়।

কৃষকরা এখন সেই ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। জানিয়েছেন, কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় আধুনিক কলাকৌশল ব্যবহার করে জমির পরিচর্যা করায় ফলন ভালো হয়েছে। তারা আগামীতে আরও বেশি জমিতে এ ধান আবাদের কথা ভাবছেন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, “এ অঞ্চলের কৃষকরা জমিতে বছরে বোরো ও আমন এই দুই ফসল চাষ করতেন। এখন কৃষি বিভাগের পরামর্শে একই জমিতে আরও একটি বাড়তি ধান আউশ চাষ করছেন। এ ধান চাষে সময় কম লাগে, সেচ খরচ খুবই কম, সারও কম লাগে। ফলন হয় তুলনামূলক ভালো।”

তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে ১৫০ হেক্টর জমিতে ৬০০ টন আউশ ধান উৎপাদন হয়েছে। যার বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা। এটি বাড়তি আয়। অনেক কৃষকই আগামীতে তাদের জমিতে আউশ ধান আবাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

১২ লাখ গ্রামীণ জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে পিডিবিএফ

নওগাঁয় কৃষকদের মধ্যে সোয়া কোটি টাকা প্রণোদনা বিতরণ

খুলনায় শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম