টাঙ্গাইলে বাম্পার ফলন হয়েছে বারি-৩ জাতের মাসকালাইয়ের

601

মাসকালাই

টাঙ্গাইল : যমুনা ও ধলেশ্বরীর চর বেষ্টিত টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে মাস কালাইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারিভাবে কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল বারি-৩ জাতের মাস কালাইয়ের বীজ ও সার সরবরাহ করায় নাগরপুর উপজেলায় মাস কালাইয়ের এ বিপ্লব হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক ও কৃষি বিভাগ।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার অধিকাংশ জমি যমুনা ও ধলেশ্বরীর চরাঞ্চলে হওয়ায় এখানে সব সময়ই মাস কালাইয়ের ব্যাপক চাষ হতো। আগে এখানকার কৃষকরা দেশী বা স্থানীয় জাতের মাস কালাই চাষ করতো। এ জাতে মাস কালাইয়ে ভাইরাস জনিত রোগের কারণে ফলন হতো কম। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন কৃষকরা। এ কারণে মাস কালইয়ের চাষ কমতে থাকে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কৃষি প্রণোদনা কর্মসুচীর আওতায় কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল বারি-৩ জাতের মাস কালাইয়ের বীজ ও সার সরবরাহ করে। বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে কৃষকরা আবারও মাস কালাই চাষে ফিরে আসেন।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, চলতি মৌসুমে নাগরপুর উপজেলার প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে মাস কালাইয়ের চাষ হয়েছে। দেশি জাতের চেয়ে বারি-৩ জাতের মাস কালাইয়ে দ্বিগুণেরও বেশী ফলন হয়েছে। গাছে রোগ-বালাইও হয়নি। এ কারণে খুশী কৃষকরা। তারা আগামীতে আরো বেশী জমিতে বারি-৩ জাতের মাস কালাই চাষের কথা ভাবছেন।

নাগরপুরে মাস কালাই চাষের বিপ্লবের খবর শুনে সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা জানান, বাম্পার ফলন দেখে এ জাতের মাস কালাই আগামীতে সারা জেলায় ছড়িয়ে দেয়ার কথা জানালেন। একইসাথে কৃষকদেরও প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন তিনি।
দেশে বাড়ছে মানুষ, কমছে আবাদি জমি। অল্প জমিতে অধিক পরিমাণে উচ্চ ফলনশীল ফল-ফসল আবাদ করা গেলে লাভবান হবেন কৃষক। একই সাথে সমৃদ্ধ হবে দেশ। এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। বাসস।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২ডটকম/মোমিন