টার্কির সঙ্গে পাবদা চাষে সফল ইমরান-আনিস

408

500

রনজিৎ সরকার, টাঙ্গাইল থেকে: টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের মাদারকোল গ্রামের মিজানুর রহমান ইমরান ও মৌলভীপাড়া গ্রামের আবু দারদা আনাস। বেকার দুই যুবক। স্বপ্ন দেখেন নিজেরা কিছু করে ভাগ্য বদলের। ইন্টারনেটে টার্কি মুরগির খামার দেখে তাদের আগ্রহ জন্মে। বিভিন্ন খামার পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত নেন টার্কি মুরগির খামার করার। সাথে মাছ চাষ।

গত ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দেলদুয়ার স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি পুকুরসহ প্রায় ২ একর জায়গা লিজ নেন তারা। নিজেদের অর্থায়নে টার্কি মুরগি পালনের জন্য ঘর তৈরি করেন। ‘রংধনু মৎস্য এন্ড টার্কি খামার’ নাম দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন।

প্রথমে সিলেট থেকে ৪৩টি টার্কি মুরগির বাচ্চা এনে লালন পালন শুরু করেন ইমরান আর আনাস। প্রতিটি বাচ্চার দাম ১৫শ টাকা। ৭ মাস বয়স হলেই মরগিগুলো ডিম দেয়া শুরু করে।

তারা জানান, বর্তমানে তাদের খামারে ৫৫টি বড় মোরগ/ মুরগি রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৬টি মুরগি ডিম দিচ্ছে। প্রতিটি ডিমের দাম ২শ টাকা। ডিম ফুটানোর জন্য তারা খামারে মেশিন বসিয়েছেন। ইতিমধ্যে ৫০টি বাচ্ছা ফুটানো হয়েছে। বাচ্চা ফুটানোর জন্য আরও প্রায় ২শ ডিম মেশিনে বসানো হয়েছে।

ইমরান ও আনাস জানান, বড় একটি টার্কি মোরগ/ মুরগি প্রায় ২০ কেজি ওজনের হয়। বড় সাইজের একেকটি মোরগ/মুরগির দাম প্রায় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। খাবার হিসেবে ঘাস, কচুরিপানা ও তৈরি খাবার দেয়া হয়। তাদের মেশিনে অন্য খামারিদের ডিম ফোটানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।

এছাড়া টার্কি মুরগির খামারের পাশাপাশি তারা পাবদা মাছের চাষ করছেন। তাদের পুকুরে প্রায় ৫ লাখ টাকার পাবদা মাছ রয়েছে। ইমরান ও আনাস আরও বলেন, আমরা আশা করছি টার্কি মুরগি ও মাছের খামার করে নিজেদের অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারবো। পাশাপাশি অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম