টার্কি মুরগির বাচ্চা পালন পদ্ধতি

1149

koch-turkey-farms-1024x576

টার্কি মুরগির বাচ্চা পালন পদ্ধতিঃ

টার্কি মুরগির বাচ্চার ঘরে ঠিকমতো তাপ দিতে হবে। যদি স্টোভে গরম করার ব্যবস্থা থাকে তবে দেখতে হবে স্টোভে বা ল্যাম্পে কোন গন্ডগোল আছে কিনা। কোন কারণে যেন বাচ্চারা উত্তপ্ত আলোর কাছে পৌছাতে না পারে-সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঘরে অবশ্যই স্যাতসেতে ভাব থাকা যাবে না। এটা এড়ানোর জন্য বাচ্চার ঘরে পুরুস্তরের বিছানা (Deep litter) বিছাতে হবে।

বাচ্চারা যেন বিছানার বিচুলি (খড়) খাওয়ার অভ্যাস না করে। বাচ্চারা ১ দিনের হলে বাচ্চাদের খাবার দিতে হবে শক্ত পিচবোর্ডের ওপর। কিছুটা বড় টার্কিদের জন্য খাবারের জায়গা (Chick hoppers) সবসময় যেন খাবারে ভর্তি থাকে। পরীক্ষিত এবং ব্রুডিংদের সুষম খাবার দিতে হবে।
বায়ু/বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখতে হবে।

বাচ্চাদের বয়স ৪-৬ সপ্তাহ হলে ওদের দাড়ে বসানো অভ্যাস করতে হবে। বাচ্চাদের খুব তাড়াতাড়ি দাড়ে বসা অভ্যাস করালে মেঝেতে ভিড় কমবে। সেই সাথে বিছানা থেকে তৈরি রোগ ব্যাধির হাত থেকেও মুক্ত থাকবে।
বাচ্চাদের সামনে পরিষ্কার মোটামুটি ঠান্ডা পানি দিনে অন্তত দুই বার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাচ্চা তিন সপ্তাহের বেশি বয়স হয়ে গেলে ওদের কুচানে ঘাস দেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রতিদিন বাচ্চার ঘর খাবার এবং পানির পাত্রসহ পরিষ্কার করতে হবে।
নিয়মিত বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় টিকা দেবার ব্যবস্থা করতে হবে।

সবসময় বাচ্চার ঘর যেন বাচ্চাদের ভীড়ে ভরাট না থাকে। ভীড় হলে বাচ্চা বাড়বে কম এবং মারাত্নক ব্যাধির সম্ভাবনা বাড়বে।
বাচ্চা ঘর এমন জায়গায় করতে হবে যেন ঠান্ডা বাতাস এবং বৃষ্টি বাচ্চাদের ব্যতিব্যস্ত করে না তোলো।
প্রতিদিন বাচ্চাদের পরিদর্শন করতে হবে। দিনে যতবার বেশি পারেন তত ভালো। লক্ষ্য করতে হবে কোন অস্বভাবিকতা দেখা যায় কিনা। সবসময়ে পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।

বাচ্চাদের ব্রুডিং ঘরে আনবার আগে একবার ঘরের আসবাব, তাপমান যন্ত্র, পানি এবং খাবারের জায়গাগুলি ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে। কোন অসামঞ্জস্য বা ক্রুটি থাকলে সেটা অবশ্যই ঠিক করে নিতে হবে।

ঠোকরান ও মারামারি থেকে মাথায় আঘাত লাগা আটকাতে স্নুড বা ডিউবিল (ঠোঁটের গোড়ায় মাংসল পিণ্ড) সরিয়ে ফেলা হয়৷ এক দিন বয়সে আঙুলের চাপ দিয়ে স্নুডতুলে ফেলা যায়৷ ৩ সপ্তাহ বয়সে তা ধারাল কাঁচি দিয়ে মাথার একেবারে কাছাকাছি কেটে ফেলা যায়৷
টার্কি বাচ্চা ফুটার পর নাভি শুকানোর জন্য” কসোমিক্সপ্লাস” ৩ দিন পানির সাথে দিতে হবে। এতে মৃত্যুহার কম হবে এবং এটি বেশ কার্যকারী।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/৮জানু২০২০