কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবারাং টুরিজমপার্ক সংলগ্ন সমুদ্রসৈকতে এক জেলের জালে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০০ কেজি মাছ ধরা পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ ফ্রেবুয়ারি)সকালে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ উত্তরপাড়া এলাকার নুরুল হকের টানা জালে মাছগুলো ধরা পড়ে।
জেলে নুরুল মাছগুলো ৭ লাখ টাকায় স্থানীয় শুঁটকি মহালের কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেন। সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলে ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরের দিকে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় জাল ফেলেন জেলে নুরুল হকসহ তার সঙ্গে থাকা জেলে ও শ্রমিকেরা। দুপুরের দিকে প্রায় ১৫ জন মিলে জালটি টেনে তুলতেই প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। জাল থেকে মাছগুলো ঝুড়িভর্তি করে সৈকতে স্তূপ করে রাখা হয়।
এই টানা জালে ছোট পোয়া, ফাইস্যা, বড় ফাইস্যা, মলা, ছুরি, বাটাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় প্রায় ৪০০ কেজি মাছ আটকা পড়েছে। জেলেরা মাছ তোলার সঙ্গে সঙ্গে এসব মাছ বিক্রি করেছেন পাইকারি ক্রেতাদের কাছে। পাইকারি ক্রেতারা কিছু মাছ বাজারে তুললেও বাকিটুকু পাঠিয়ে দিয়েছেন শুঁটকির মহালে।
সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল মান্নান জানান, স্থানীয় জেলে নুরুল হক ভোরে সাগরে জাল ফেলেন। কয়েক ঘণ্টা পর জাল তুললে সেখানে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। মাছগুলো ৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন,বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ ও ইলিশের প্রজনন বাড়াতে ২০১৯ সাল থেকে (৬৫ দিন) মাছ ধরা ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন ও আকৃতি বেড়েছে অনেক গুণ। এর সুফল হিসেবে শাহপরীর দ্বীপ উপকূলের জেলেদের জালে বড় ও ছোট প্রজাতির প্রচুর পরিমাণের মাছ ধরা পড়ছে। এসব মাছ বিক্রির টাকায় জেলেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। দূর হচ্ছে জেলেপল্লীর অভাব-অনটন। অবশ্যই এটা আনন্দের সংবাদ।