নাহিদ রেজা, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের মাল্টা এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মাল্টা চাষ করে কৃষকরা অল্প সময়ে লাভবান হওয়ায় তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় দিন দিন মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এখানকার চাষিরা। সেই সাথে মাল্টা চাষে সফলতা অর্জন করেছেন অনেকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, হরিপুর, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও সদর উপজেলার প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে ও প্রায় ৩ হেক্টর জমির বসতবাড়িতে মালটা, কমলা, বাদামী ও কলম্ব চাষ হয়েছে। এর বেশিরভাগই মাল্টা ও কমলা।
গত কয়েক বছর ধরে এ জেলায় চাষ হচ্ছে মাল্টা। মাল্টা চাষ করে কৃষকরা অল্প সময়ে লাভবান হওয়ায় তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাল্টা চাষে এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী বলেই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষককে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ৫০টিরও বেশি মাল্টা ধরছে যা তুলনামুলকভাবে বেশি। আর কিছু কিছু গাছে শতাধিক মাল্টা ধরছে। এতে লাভবান হচ্ছে কৃষক।
কথা হয় ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী গ্রামের মাল্টা চাষি বেলাল হোসেনের সাথে। তিনি জানান, ২০১৫ সালের জুন মাসে বাড়ির পিছনে পরিত্যক্ত ৫০ শতক জমিতে সরকারি অর্থায়নে মাল্টার চারা রোপন করেন তিনি। জুন মাসেই সেখানে মাল্টা বারি-১ জাতের ৫৬ টি মাল্টা, ৫টি কমলা লেবু, কলম্ব লেবু ২০টি, বাতাবি লেবু ১০টি সর্বমোট ১০০টি চারা রোপন করি। মাল্টার বাগানে প্রতিটি গাছে ৭০টি থেকে ৮০টি করে ফল ধরে। এখন পর্যন্ত বাগানে খরচ হয়েছে তার ৫০ হাজার টাকা। এর থেকে দিগুণ লাভ হবে বলে আশা করেন তিনি।
এছাড়া জেলা ও উপজেলার কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাল্টা চাষ করে তারাও সফলতা পেয়েছে। আগামীতে মাল্টা চাষ আরো বাড়বে বলে মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মাউদুদুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার মাটি অম্লীয় বেলে দো-আঁশ মাটি। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষে উপযোগী বলেই চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন