ডাক ভাইরাস হেপাটাইটিস রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকারে করণীয়

952

duck
হেপাটাইটিস ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হাসেঁর বাচ্চার একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর সংক্রামক রোগ। এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং অল্প সময়ে অনেক হাসেঁর মৃত্যু ঘটাতে পারে। রোগাক্রান্ত হাঁসের যকৃতে প্রদাহ হয় বলে এ রোগকে হেপাটাইটিস ও বলা হয়

রোগের কারণ:
পিকোরনা ভাইরাস নামক একপ্রকার ভাইরাস দ্বারা এ রোগ সৃষ্ট হয়।

এপিডিমিওলজি:
প্রাকৃতিক নিয়মে ১-২ সপ্তাহের বয়সের হাঁস অত্যনত্ম সংবেদনশীল। বয়স্ক হাঁসে এ রোগ হয় না। প্রাকৃতিক নিয়মে মুরগি ও টারকিতে এ রোগ হয় না। এটা অত্যন্ত ছোঁয়াচে প্রকৃতির রোগ এবং প্রকৃতিতে সহঅবস্থান হাঁসের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ডিমের মধ্যে বা কীটপতঙ্গ দ্বারা সংক্রমিত হবার প্রমাণ পাওয়া যায় নি।

রোগ থেকে সেরে উঠা হাঁসের পায়খানার সাথে প্রায় ৮ সপ্তাহ যাবৎ এ ভাইরাস দেহ হতে বেরিয়ে আসে। আক্রানেত্মর হার প্রায় ১০০%। মৃত্যু হার ১ সপ্তাহের কম বয়সের বাচ্চাতে প্রায় ৯৫%, ১-৩ সপ্তাহের বাচ্চাতে প্রায় ৫০% এবং ৪-৫ সপ্তাহের বাচ্চাতে অতি অল্প।

রোগের লক্ষ্মণ:
এ রোগ অতি দ্রুত অল্পবয়স্ক হাঁসের বাচ্চার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক বাচ্চা হঠাৎ পড়ে গিয়ে মারা যায়। কিছু বাচ্চা শুয়ে থেকে ঘাড় পিছনের দিকে বাঁকা করে, চোখ বুজেঁ পেট ব্যাথার জন্য চিৎকার কেও এবং পা ঝাপটায়। এভাবে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে মারা গিয়ে থাকে। কিছু কিছু বাচ্চা ঈষৎ সবুজ বর্নের পাতলা পায়খানা করে।

চিকিৎসা:
এন্টিসিরাম থেরাপি এ রোগে যথেস্ট কার্যকরী। এক্ষ্মেেএ এন্টিসিরাম বা হাইপার ইমিউনাইজড (Hyperimmunized) হাঁস হতে রত্ত নিয়ে আক্রানত্ম প্রতিটি হাঁসে ০.৫ মিলি করে ইনজেকশন করলে যথেষ্ট সুফল পাওয়া যায়।

রোগ প্রতিরোধ :
রোগ প্রতিরোধের জন্য জন্মের পর ৪-৫ সপ্তাহ পর্যনত্ম হাসেঁর বাচ্চা গুলোকে পৃথকভাবে রাখলে রোগের আক্রমণ হতে রক্ষ্মা করা যেতে পারে। এছাড়া অনাক্রম্যতা (Immunity) সৃষ্টির মাধ্যমে ও রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ অনাক্রম্যতা তিন প্রকারে সৃষ্টি করা যায় যেমন

১) জন্মের ১ দিনের দিন হতে এন্টিসিরাম বা হাইপার ইমিউন (Hyper-immune) রত্ত হাঁসের বাচ্চাদের ইনজেকশন করা যায়। এতে অপ্রতিরোধী ইমিউনিটি (Passive immunity) দ্বারা হাঁসের বাচ্চার রোগ প্রতিহত করতে সক্ষ্মম হবে।

২) ডিমপাড়া হাঁসকে টিকা প্রদান করে তার দেহে ইমিইনিটি সৃষ্টি করা। এত মাতৃদেহ হতে এন্টিবডি ডিমের কুসুমের মধ্য দিয়ে বাচ্চার দেহে প্রবেশ করে তাকে রক্ষ্মা করে।

৩) জন্মের পরই হাঁসের বাচ্চাকে টিকা প্রদান করা।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৯মার্চ২০