ডিএই উপপরিচালকের (পাবনা) একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ

451

এটিএম ফজলুল করিম, পাবনা প্রতিনিধি: পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তদরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষন সরকারের প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হলো এক মহৎ উদ্যোগ। কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নের ভাবনায় তাঁর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো যায় নিঃসন্দেহে।

নিয়িমিত কাজের পরেও তিনি আটঘরিয়া উপজেলার ৬টি কৃষক মাঠস্কুলের কৃষাণ-কিষাণীদের মধ্যে ১ শ’৫০টি হাড়িভাঙ্গা জাতের আমের কলমের চারা এবং ১ শ’৫০টি বারমাসি সজিনার চারা বিতরণ করেন। সেই সাথে তিনি চারা রোপণ, সার প্রয়োগ, রোপণ পরবর্তী পরিচর্যার কৌশল শিখিয়ে দেন। ১৮ মে আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মুখে তিনি এ চারাগুলো বিতরণ করেন। ইতোপূর্বেও কচুয়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কৃষক মাঠস্কুলের কৃষক কৃষাণীদের মধ্যে এ ধরনের চারা বিতরণ করেন।

আটঘরিয়ার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাসুমবিল্লাহ জানান, আটঘরিয়ার সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কম্পোনেন্ট প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত ৬টি কৃষক মাঠস্কুলে এ চারাগুলো বিতরণ করা হয়। প্রতিটি স্কুলে ২৫টি করে হাড়িভাঙ্গা আমের চারা এবং ২৫ টি করে বারো মাসি সজিনার চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। মাঠ স্কুলগুলো হলো আটঘরিয়া হাজীপাড়া কৃষক মাঠস্কুল, চকচৌকিবাড়ি কৃষক মাঠ স্কুল, চরশ্রীপুর কৃষক মাঠ স্কুল, লক্ষণপুর দক্ষিণ পাড়া কৃষক মাঠ স্কুল, কালামনগর কৃষক মাঠ স্কুল এবং শ্রীপুর কৃষক মাঠ স্কুল।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরে ১৯ মে চারা বিতরণ কালে আটঘরিয়া উপজেলার শিক্ষা অফিসার সিরাজুম মনিরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি কৃষকদের মধ্যে চারা বিতরণের এ মহতি উদ্যোগের ভূয়শী প্রশংশা করেন এবং সেই সাথে এ কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করে স্কুল কলেজের ছাত্র ছ্ত্রাীদের মধ্যে চালুর অনুরোধ জানান। এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রশান্ত কুমার সরকার, কৃষি সম্প্রসাণ অফিসার মাসুম বিল্লাহ এবং কচুরামপুর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনান্য উপজেলায়ও এ ধরনের চারা বিতরণ হবে কিনা জানতে চাইলে কৃষিবিদ বিভূতি ভূষণ সরকার জানান, পর্যায়ক্রমে জেলার সবগুলো উপজেলার মাঠ স্কুলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও এ ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। কিছু কিছু ভালো উদ্যোগ খাদ্য ও পুষ্টি সমস্যার নিরসন ছাড়াও সমাজের অর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবতর্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

দেশের সকল কৃষক মাঠস্কুৃলে কৃষাণ-কৃষাণীদের মধ্যে ফল ও সবজির চারা বিতরণ, পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে খাদ্যপুষ্টির নিরাপত্তা বিধানসহ তৃণমূল পর্যায়ে চাষিদের ভিত মজবুত করতে এ ধরনের প্রয়াস সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।