ডিম উৎপাদনের খামারে মুরগির পরিচর্যায় যা করতে হবে সেগুলো ভালোভাবে জেনেই মুরগির খামার শুরু করা উচিত। খামারে ডিম উৎপাদন করার জন্য যেখানে মুরগি পালন করা হয় সেখানে সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। আজকের এই লেখাতে আমরা জেনে নিব ডিম উৎপাদনের খামারে মুরগির পরিচর্যায় যা করতে হবে সেই সম্পর্কে-
ডিম উৎপাদনের খামারে মুরগির পরিচর্যায় যা করতে হবেঃ
মুরগির জন্য সবসময় বিশুদ্ধ পানিয় জল সরবরাহ করা উচিত। গরমের সময় অবশ্যই ঠান্ডা বিশুদ্ধ পানিয় সরবরাহ করা উচিত। জলের সাথে অনেক সময় জীবাণুনাশক মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। পানি পরে গিয়ে মুরগির মেঝে বা লিটার যাতে ভিজে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ঘরের মেঝে থেকে ৮ – ১০ ইঞ্চি উপরে প্রতি ৫ – ৬ টি পাখি প্রতি একটি করে ডিম পাড়ার বাক্স রাখতে হবে। ডিম পাড়ার বাক্সে ৩ – ৪ ইঞ্চি পুরু লিটার ব্যবহার করতে হবে যাতে ডিম ভেঙে না যায়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর লিটার পরিবর্তন করতে হবে।
ডিম উৎপাদন লাভজনক করতে পোলট্রি খামারে মুরগির বিশেষ পরিচর্যা প্রয়োজন। মুরগির সাথে মোরগের প্রতিপালন সমান গুরুত্বের। পোলট্রি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত –
মুরগিকে নিয়মিত সবুজ খাদ্যের সরবরাহ দিলে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়।
ওজন ১৪০০ – ১৫০০ গ্রাম হলে মুরগি ডিম পাড়তে শুরু করে। লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে মুরগির দেহের ওজন কোনভাবে ২৫ – ৫০ গ্রামের বেশি না বাড়ে। দেহে ফ্যাট বেশী জমলে পরবর্তীকালে ডিমের পরিমাণ কমে যেতে থাকে।
মুরগি ও মোরগের অনুপাত ৫ : ১ রাখতে হয়।
মুক্তাঙ্গনে ও খামারে পালিত মুরগিকে খাবারের উচ্ছিষ্ট, পোকামাকড়, সবজির খোসা, মুড়ি, চাল, ক্ষুদ – কুঁড়ো, ভাতের মাড় ইত্যাদির সঙ্গে ভিটামিন ও খনিজ লবন মিশিয়ে দিলে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। মুরগির খাবারে গেঁড়ি গুগলি থাকলে মুরগির প্রাণিজ প্রোটিনের চাহিদা মেটে ও ডিমের খোসা মোটা হয়, সহজে ভাঙে না।
মুরগির খাবারের পাত্র সপ্তাহে একদিন পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ও জলের দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।
ডিম পাড়ার সময় প্রাকৃতিক আলো ছাড়াও কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন হয়। প্রাকৃতিক আলো ও কৃত্তিম আলোর মোট সময় প্রায় ১২ ঘন্টা + ৫ ঘন্টা = ১৭ ঘন্টা আলোর প্রয়োজন হয়। ভোর বেলা ও সন্ধ্যের সময় এই কৃত্তিম আলো দিতে হবে।
মুরগির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হবে। সূত্র:আধুনিক কৃষি খামার
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৪ জানুয়ারি ২০২২
