ডিম ও মুরগির মূল্যবৃদ্ধি, লাভবান হচ্ছে কি খামারীরা?

338

ডাম-ও-মুরগি

মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। আর এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে কেউ দিচ্ছেন বৃষ্টির অজুহাত, আবার কেউ বলছেন মজুতদারদের কথা। কিন্তু যারা ডিম উৎপাদনকারী অর্থাৎ সেই খামারীরা কি লাভবান হচ্ছেন?

সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দামও প্রায় পাঁচ টাকা বেড়ে, বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

কিন্তু এ ব্যাপারে পোল্ট্রি খামারিরা জানান,  একটি ডিম উৎপাদনে খবচই হয় পাঁচ টাকারও বেশি। কিন্তু আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ওই একই দামে। তার মানে বিশ টাকা হলি বিক্রি করতে হচ্ছে। মাঝখানে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা খামারীদের চেয়ে বেশি লাভ করে নিয়ে যা্চ্ছে । এতে যেমন খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি ক্রেতা সাধারণও প্রতারিত হচ্ছে।

মালিবাগ বাজারের ক্রেতা রিয়াদ হোসেন বললেন, ‘‘ডিমের দাম সবখানেই বাড়তি। বাসার সামনে মুদি দোকান যেগুলা, সেগুলাতে প্রতিটি ডিম এখন ১০ টাকা। আর এখন আমি এখানে বাজার থেকে নিচ্ছি। ওইটা নয় টাকা করে পড়তেছে আরকি।’’

আরেক ক্রেতা বলেন, ‘‘ছয় টাকা থেকে শুরু। এই দুই-তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আজকে ১০ টাকা। তো ডে বাই ডে এটা বাড়তেছেই। ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে।’’

এদিকে, বৃষ্টির পাশাপাশি এ সময়ে উৎপাদন কমে যাওয়ায়, বাজারে ডিমের সরবরাহ কমেছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।

বাজারের এক বিক্রেতা বললেন, ‘‘আগের তুলনায় ডিম আসতেছে কম। এক সপ্তাহ, ১৫ দিন বা এক মাস আগে যে প্রোডাকশান (উৎপাদন) ছিল, যেই আমদানি ছিল, এখন ওই আমদানি নাই।’’

আরেক বিক্রেতা বললেন, ‘‘বৃষ্টির কারণে গাড়িঘোড়া কম ঢুকে, পাইকারি বাজারে। দামডা এই কারণে একটু বেশি।’’

আবার কোনো কোনো বিক্রেতা দাম বাড়ার পেছনে মজুতদারদের দোষারোপ করছেন। এক বিক্রেতা বললেন, ‘‘দাম তো আড়তে বাড়ছে। আড়তে তো, যারা স্টক করে, রাহি করে, মজুতদার, তারাই মূলত এই কাজটা করে।’’

তবে, বিক্রেতাদের এ সমস্ত অজুহাত মানতে নারাজ সাধারণ মানুষ বা ক্রেতারা। এক নারী ক্রেতা বললেন, ‘‘একেক সময় একেক রকম বলে, যে আমদানি নাই। এক সময় বলবে যে, বৃষ্টির জন্য।’’

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন