ডিম নিয়ে শত বছরের একটি কুসংস্কার!

325

সেদ্ধ ডিম

ছোটবেলায় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে কখনো ডিম খেতে দিতো না। মনে হয় সব শিক্ষার্থীর জীবনেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আর তার কী কারণ থাকতে পারে সেটার ব্যাখ্যা অবশ্য অবিভাবকরা দেননি। আর তখন ব্যাখ্যা চাওয়ার মতো পরিস্থিতিও থাকে না।

সেটা তো ছোটবেলার কথা। কিন্তু এখনো কোনো শুভ কাজে বের হওয়ার আগে অনেকে ডিম খেতে চান না। সঠিক কারণ না জানলেও মনে একটা কুসংস্কারের ‘কু’ কাজ করে। যদি ডিম খেয়ে শুভ কাজে যাই তাহলে হয়তো আমার কাজটা হবে না।

তো উপাদেয় এই ডিম নিয়েও এক ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কুসংস্কার চালু রয়েছে। এই কুসংস্কার চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। হয়তো যারা এ উপদেশ দিতেন তারাও ব্যাপারটা জানতেন না।

আসলে ডিম আমাদের শরীরে খুব দ্রুত গরম করে তোলে। এতে রয়েছে প্রোটিন-ফ্যাট। শুভ কাজে যাওয়ার সময় শরীর-মাথা-মন ঠাণ্ডা রাখতে দই-এর ব্যবহার যেমন অনস্বীকার্য, তেমনই ডিম যেন নেতিবাচক একটি খাবার। এসময় ডিম খেলে উত্তেজনা বা প্রেসার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে শুভ কাজ পণ্ড হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই শুভ কাজে যাওয়ার আগে ডিম খেতে নিষেধ করা হয়।

এছাড়া অন্য কোনো ব্যাখ্যা যুক্তিসংগত বলে মনে হয় না। আর যারা কুসংস্কার বিশ্বাস করে তাদের না খাওয়াই ভালো।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন