অনেক ক্ষুদ্র খামারিদের দেখা যায় তারা মুরগির খাবার নিজেরাই তৈরি করেন। সঠিক ভাবে করতে পারলে খরচ অনেক কমে এবং রেডি ফিডের মধ্যে ফিসমিল নামক বিষ থেকে সবাই বাচতে পারি।
ধান, ধানের কুড়া/ভুষি, গম, ভুট্টা ভাংগা দিলেন, মাশ-আল্লাহ মুরগির পেট ভরে গেলো কিন্তু মুরগির শরীরের চাহিদার সকল পুষ্টি কি পাইলো?
হ্যা, অনেকেই খৈল,সয়াবিন দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাতে সেই খরচ বেড়ে যায় খাবারের।
সহজেই মুক্তি, আপনারা হোটেল গুলো থেকে ডিমের খোসা সংগ্রহ করতে পারেন, এবং তা প্রায় বিনামূল্যে।
ডিমের খোসা সরাসরি দেওয়া যায়, তবে অপচয় এবং অনেক সময় মুরগি ডিমের খোসা খাওয়াতে অভ্যস্ত হলে নিজেদের ডিম ও খেয়ে ফেলে
তাই ডিমের খোসা প্রথমে গরম পানি দিয়ে ভিজায়ে ১০ মিনিট পরে পানি ঝরিয়ে শুকাতে দিতে হবে পরিস্কার জায়গায়।
পুরোপুরি শুকানোর পরে বাসার ব্লেন্ডারে গুড়া করে খাদ্যে মিশাতে পারেন। ব্লেন্ডার না থাকলেও সমস্যা নাই।
১০ কেজি ধানের গুড়া
৪ কেজি গম ভাংগা
৫ কেজি ভুট্টা ভাংগা
৫০০ গ্রাম খৈল গুড়া
১৫০ গ্রাম ডিমের খোসা গুড়া
১০০ গ্রাম লবণ
ব্যস ১০ টা মুরগির পুরা ১ মাসের খাবার হয়ে গেল।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৬জানু২০২০