উন্নয়ন আর আধুনিকতার ঠেলায় ক্রমশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে পৃথিবী। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে, আর্কটিকের বরফ গলার ফলে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও। এ সব কিছুর পেছনে দায়ী নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন। পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে তাই আমাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। গড়তে হবে সবুজ বসুন্ধরা।
প্রতিনিয়ত যে পরিমাণ গাছ আমরা কেটে ফেলি, তার বিপরীতে গাছ লাগানোর পরিমাণ অর্ধেকেরও কম। যে কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে; বাড়ছে উষ্ণতা। ফলে হুমকির মুখে প্রকৃতি ও পরিবেশ। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কানাডার বিজ্ঞানীরা নিয়েছেন একটি বৃহৎ পরিকল্পনা। আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে তারা একশ’ কোটি গাছ লাগাতে চান। আর এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করবেন ড্রোন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই তারা ড্রোনের সাহায্যে এই বিপুলসংখ্যক গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই নেটওয়ার্ক ড্রোন থেকে মাটিতে বীজ ফেলা হবে। প্রতি সেকেন্ডে একটি করে গাছ লাগানো সম্ভব হবে। সাধারণভাবে বনায়ন করতে একটি গাছ লাগানোর পেছনে যে পরিমাণ খরচ হয়, এক্ষেত্রে তার পাঁচ ভাগের একভাগ খরচ হবে।
বিজ্ঞানীরা এই বনায়নের নাম দিয়েছেন ‘ফ্লাশ ফরেস্ট’। গত বছরের আগস্ট মাসে তারা ড্রোন দিয়ে গাছ লাগানোর প্রাথমিক পরীক্ষা চালান। পরীক্ষামূলকভাবে তারা ১০০টি গাছ লাগিয়ে সফল হন। আর এ থেকেই বিজ্ঞানীরা অনুপ্রাণিত হন। তারা লক্ষ্য নির্ধারণ করেন, ২০২৮ সালের মধ্যে ড্রোনের সাহায্যে ১০০ কোটি গাছ লাগাবেন।
টিমের সদস্য ব্রিস জনস বলেন, পৃথিবী থেকে প্রতিবছর ১৩ বিলিয়ন বৃক্ষ নিধন হচ্ছে, কিন্তু অন্যদিকে গাছ লাগানোর পরিমাণ তার অর্ধেকেরও কম। তাই পৃথিবীকে বাঁচাতে তারা এই লক্ষ্য ঠিক করেছেন। এই কাজ সফলভাবে সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তারা অন্য কোনো দিকে মনোযোগ দিতে চান না।