ঢেঁড়স এর কাণ্ড পচা রোগের কারণ ও প্রতিকারে করণীয়

717

maxresdefault (1)

ঢেঁড়স বাংলাদেশের অন্যতম গ্রীষ্মকালীন সবজি। সবজি হিসেবে এটি সবার নিকটই প্রিয়। এতে অধিক মাত্রায় ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং খনিজ পদার্থ আছে। ঢেঁড়সের বীজে উচ্চমানের তেল ও আমিষ আছে। আমাশয়, কোষ্টকাঠিন্যসহ পেটের পীড়ায় ঢেঁড়স অত্যন্ত উপকারী। আবার ঢেঁড়স গাছের আঁশ দিয়ে রশি তৈরি হতে পারে।

রোগের কারণ :
ম্যাক্রোফোমিনা ফেসিওলিনা (Macrophomina phaseolina) নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে।

রোগের বিস্তার :
রোগটি বীজ, মাটি ও বায়ু বাহিত। উষ্ম ও আর্দ্র আবহাওয়া, অতিরিক্ত নাইট্রোজন ও কম পটাশ সার ব্যবহার করলে এ রোগের প্রকোপ বেশি হয়। মাটির উষ্ণতা (৪০ ডিগ্রি সে.) বেশি হলেও রোগ বেশি হয়।

রোগের লক্ষণ :
সাধারণত মে মাসের দিকে এই রোগ দেখা যায় এবং জুন-জুলাই মাসে মারাত্মক আকার ধারণ করে।
মাটি সংলগ্ন গাছের গোড়া নরম হয়ে পচে যায়। আক্রান্ত শিকড়ে ও কা-ে কালো বিন্দুর ন্যায় পিকনিডিয়া দেখা যায়। রোগ বিকাশের অনুকূল অবস্থায় ২-৩ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ গাছ শুকিয়ে যায়।

প্রতিকার :
সুস্থ বীজ বপন করতে হবে। শস্য পর্যায় অবলম্বন করতে হবে। মৌসুমের শুরুতেই ক্ষেতের গাছ শিকড়সহ উঠিয়ে পুড়ে ফেলতে হবে। বর্ষার আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে ঢেঁড়সের বীজ বপন করতে হবে। রোগ প্রতিরোধী জাত যেমন-বারি ঢেঁড়স ১ চাষ করতে হবে।

কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-অটোস্টিন) অথবা কার্বোক্সিন+থিরাম গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-প্রোভ্যাক্স ২০০ ডব্লিউপি) প্রতি
কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে শোধন করতে হবে।

মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-ডাইথেন এম ৪৫) প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে অথবা কপার অক্সিক্লোরাইড গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-সানভিট ৫০ ডব্লিউপি) প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/৩০মার্চ২০